শ্যামল রায়,কালনাঃ
নবদ্বীপ গৌরাঙ্গ সেতু সংলগ্ন গঙ্গার উপর রেল ব্রিজের কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু এই রেল ব্রিজ দিয়ে রেল কবে চালু হবে এখনো পরিষ্কার নয় স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে।তবে জানা গিয়েছে যে নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত মহিশুরা গ্রাম পঞ্চায়েতে জমি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে রেলপথ চালু হচ্ছে না এমনটাই অভিযোগ।
জমি না দিলে যে রেলপথ হবে না এটা প্রত্যেকেই বুঝে গেলেও চাষিরা জমি দিতে নারাজ।শাসক দলের নেতারা স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে অনেকবার বসেছেন সেই সাথে বহু রাজনৈতিক দলের নেতারা জমিদাতাদের সাথে বৈঠক আলোচনা শেষ করলেও জটিলতা কাটেনি ফলে সুরাহা কিছুই মেলেনি আজ পর্যন্ত। তাই রেল ব্রিজের কাজ সম্পন্ন হলেও রেলপথ কবে চালু হবে,নবদ্বীপ থেকে শিয়ালদা রেলপথ চালু হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চিত এলাকার মানুষরা।
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুর রেলস্টেশনে বিপুল পরিমাণ টাকা সহ ধৃত ১
কৃষ্ণনগর থেকে সরাসরি নবদ্বীপ রেল স্টেশন এর সাথে সংযোগকারী সেতু হিসেবে গঙ্গার উপর এই রেলব্রিজ এর গুরুত্ব অপরিসীম।জমি দাতারা কোনভাবেই তাদের বহু ফসলি জমি দিতে চাইছেন না।এমনকি জমির দাম অনেকটা বাড়িয়ে দিলেও জমি দিতে চাইছেন না তাই জমি জটিলতায় রেলপথের কাজ থমকে আছে ।
এই রেল ব্রিজটি চালু হলে দক্ষিণবঙ্গের সাথে উত্তরবঙ্গের রেলপথের আমূল পরিবর্তন ঘটে যেত যোগাযোগ ব্যবস্থার, তা সত্ত্বেও রেল ব্রিজ তৈরি হলেও জমি সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে রেলপথের কাজ।
অন্যদিকে কালনা শান্তিপুর গঙ্গার উপর সেতু তৈরীর জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকবার ঘোষণা করেছেন অর্থ বরাদ্দ করেছেন কিন্তু এখানেও জমি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে এই ব্রিজের কাজ সুসম্পন্ন হবে কিনা প্রশ্ন চিহ্ন দাঁড়িয়েছে?কেউ কেউ জমি দিতে ইচ্ছে প্রকাশ করলেও অধিকাংশ চাষিরা তাদের বহু ফসলি জমির ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলে জমি দিতে নারাজ।অথচ এই সেতু তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় এগারো শত কোটি টাকা।
কবে নাগাদ সেতু তৈরীর জন্য কাজ শুরু হবে এখনো অন্ধকারে স্থানীয় প্রশাসনসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।তবে এক্ষেত্রেও গঙ্গার উপর সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে দক্ষিণবঙ্গের সাথে উত্তরবঙ্গে রেলপথের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হতো এবং আমূল পরিবর্তন ঘটে যেত যোগাযোগ ব্যবস্থার। তাই একদিকে নবদ্বীপ রেল ব্রিজ তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে অন্যদিকে শান্তিপুর গঙ্গার উপর সেতু তৈরীর জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়ে পড়ে রয়েছে দুটি উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা মুখ থুবরে পড়ে থাকায় নানান ধরনের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
তবে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে যে নবদ্বীপ গঙ্গার উপর রেল ব্রিজের কাজ শেষ হলেও সেতু তৈরীর জন্য জমি দাতারা যাতে জমি দেয় তার জন্য সমস্ত রকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
একদিকে নবদ্বীপে গঙ্গার উপর ব্রীজের কাজ শেষ হলেও জমি সমস্যায় থমকে রয়েছে রেলপথ তৈরীর কাজ অন্যদিকে কালনা সেতু তৈরীর জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়ে পড়ে রয়েছে কবে নাগাদ শুরু হবে এ বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত।
তবে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে কালনা সেতু তৈরীর কাজ ভোটের পরেই শুরু হয়ে যাবে জমিদাতা রাও জমি দিতে ইচ্ছুক প্রয়োজনে আরো চাষিদের চাহিদামতো দাম দেয়া হবে। দুটি প্রকল্প সম্পন্ন হলে আমূল পরিবর্তন হবে যোগাযোগ ব্যবস্থার এমনটাই মনে করছেন সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584