শিবশঙ্কর চ্যাটার্জ্জী, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
বর্ষাকাল পরতেই বিভীষিকা গ্রামের রাস্তা। বর্ষার সময় গ্রামে ঢুকতে চায়না কোনও অ্যাম্বুলেন্স। বর্ষাকালে অসুস্থ রোগীর বাঁচা-মরা নির্ভর করে ভগবানের উপরই।
এলাকার একমাত্র রাস্তাটি পাকা করার দাবি নিয়ে নেতা মন্ত্রী থেকে প্রশাসনের কাছে একাধিকবার দরবার করেছেন গ্রামবাসীরা। তবে আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি। এখনও মাটির রাস্তাপাকা হয়নি। পিচের প্রলেপটুকু পড়েছে শুধু।
স্বাধীনতার পর থেকে এমন দুর্দশার মধ্যেই যোগাযোগের এই একমাত্র রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছেন গ্রামবাসীরা। কুমারগঞ্জ ব্লকের জাকিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সর্দারহাট এলাকার কয়েকশো পরিবারের এরকমই করুণ অবস্থা।
আরও পড়ুনঃ দুষ্কৃতীদের হাতে গুলিবিদ্ধ যুবক, এলাকায় চাঞ্চল্য
গ্রামবাসীরা ফের একবার মাটির রাস্তাটি পাকা করার আবেদন জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কাছে। যদিও পুরনো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন কুমারগঞ্জ ব্লক প্রশাসন।
জানা গেছে, কুমারগঞ্জ ব্লকের জাকিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সর্দারহাট থেকে ইনতুল্যাপুর উৎরইল হয়ে হরিপুর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তাটি মাটির।
এই রাস্তায় প্রায় ৩০ গ্রাম, ৪ প্রাথমিক ও ১ হাইস্কুল এবং ১ হাই মাদ্রাসা স্কুল রয়েছে। রয়েছে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রও। কুমারগঞ্জ-সহ বালুরঘাটের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি মাটির। অভিযোগ, স্বাধীনতার পর থেকেই রাস্তাটি মাটির রয়েছে সেভাবে। কোনওদিন এক কোদাল মাটি পরেনি রাস্তায়।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, এই রাস্তার উপর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। বর্ষাকালে অসুস্থ রোগী আর প্রসূতিদের ভগবানই ভরসা।
এ বিষয়ে কুমারগঞ্জ ব্লকের বিধায়ক তারেফ হোসেন মণ্ডল জানান, রাস্তারটির বিষয়ে তিনি জানেন। এবারই রাস্তাটি পাকা করার কাজ দ্রুত শুরু হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে পাকা রাস্তার প্রোপোজাল পাস হয়ে গেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584