নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া বন্দরে সমস্যার জট কাটতেই চাইছে না।বন্দর এলাকায় রাখা এক সংস্থার পণ্য অন্য সংস্থা চুরি করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে বুধবার উত্তাল হয় বন্দর।শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে বন্দরের সমস্ত বার্থে বন্ধ হয়ে যায় কাজ।গভীর রাতে পণ্য ওঠানামার কাজ শুরু হলেও ফের বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মেরিন ক্রু’দের ধর্মঘটের জেরে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার এক মেরিন ক্রু’কে শো- কজের ফলে ধর্মঘটের পথ বেছে নেয় তারা।এর ফলে বন্দরে এদিন সকাল থেকেই পণ্যবাহী জাহাজ ঢোকা বা বেরনো বন্ধ হয়ে গিয়েছে।বন্দরের বাইরে গতকাল রাত থেকে তিন জাহাজ দাঁড়িয়ে রয়েছে।পণ্য খালাস হওয়া জাহাজও বেরতে পারছে না। বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিক সংগঠনগুলির তীব্র বাদানুবাদের পরও সুরাহা মেলেনি।
আরও পড়ুনঃ হাসিমারায় অসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মচারীদের ধর্মঘট
অভিযোগ, মেরিন ক্রু’রা দীর্ঘদিন ধরে কাজে অবহেলা করছে।রাতে ডিউটির সময়ে তারা বাড়ি গিয়ে ঘুমোয় বা অন্যত্র থাকে। লকগেটের কাছে তাদের ডিউটিতে পাওয়া যায় না। সম্প্রতি, কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যানের ভিজিটের সময় এই ঘটনা ঘটায় এক মেরিন ক্রু’কে শোকজ করে কড়া বার্তা দিতে চায় বন্দর।
বন্দরের একটি শ্রমিক সংগঠনের প্রশ্রয়ে তারা পালটা হুমকি দেয় কাজ বন্ধের। তারপরই তারা এদিন সকাল থেকে লকগেট বন্ধ করে ধর্মঘটে বসে।বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে,এক একজন মেরিন ক্রু মাসে মোট ২০দিন কাজ করে ও ১০দিন ছুটি পায়।তবে এদের একটানা ২৪ ঘন্টা ডিউটি দিতে হয়।সেজন্য এদের বেতন দেড় লক্ষ টাকার ওপর।
বর্তমানে হলদিয়া কলকাতা মিলিয়ে ৯০ জন মেরিন ক্রু রয়েছে।মেরিন ক্রু’ দের এই অবিবেচক কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ কর্তারা। তাঁদের অভিযোগ, গতকাল ক্ষোভ বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়ে বন্দরের আধিকারিকদের ওপরেও।ট্রাফিকের জেনারেল ম্যানেজার স্বপন সাহা রায় মেরিনের শ্রমিককে শো’কজ করায় তাঁর বাংলোতে চড়াও হয় একদল লোক এবং তাঁকে ঘেরাও করে অশ্রাব্য গালিগালাজ করা হয়। এই ঘটনার পর তিনি হলদিয়া ছাড়তে বাধ্য হন বলে অভিযোগ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584