শিবশংকর চ্যাটার্জ্জী,দক্ষিন দিনাজপুরঃ
আগামী মে মাসের ৩১ তারিখ এরপর থেকে বালুরঘাট পৌরসভা এলাকায় বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে টোটো চলাচল। প্রায় দেড় মাস আগে জেলা অঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়।হাতে আর এক মাস বাকি রয়েছে,এখনও সে ভাবে বালুরঘাট পৌরসভা এলাকায় টিআইএন ও বিএম নাম্বার পাওয়া টোটো চালকরা ব্যাটারি চালিত ইরিক্সা কিনতে পারেনি।টোটো থেকে ইরিক্সার দাম বেশী হওয়ায় সমস্যায় পৌরসভার টোটো চালকরা। আর্জি জানিয়েছেন সরকারি সহযোগিতার।
প্রসঙ্গত,বালুরঘাট পৌরসভার অনুমোদিত শহর ও শহরাঞ্চলের মোট ১১৩০টি টোটো রয়েছে।এর মধ্যে কিছু টিআইএন নম্বর দেওয়া আছে এবং বাকিতে বিএম ও বিএম-১ নম্বর দেওয়া আছে।
আরও পড়ুনঃ
প্রায় মাস দেড়েক আগে জেলা আঞ্চলিক পরিবহন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। যেখানে বলা হয় বালুরঘাট পৌরসভার অনুমোদিত যে সব টোটোর টিআইএন ও বিএম নম্বর রয়েছে তাদেরকে টোটোর পরিবর্তে ব্যাটারি চালিত ই রিক্সা কিনতে হবে।এবং ই রিক্সাতে আরটিও-র নম্বর লাগাতে হবে।আগামী ৩১ মে-র মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে।
এদিকে পৌরসভার অনুমোদিত টোটোকে অগ্রাধিকার না দিয়ে নতুন টোটোর নাম্বার দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিল টোটো মালিকরা। পাশাপাশি পুরনো টোটো বিক্রি করে নতুন ই রিক্সা কিনতে কালঘাম ছুটছে টোটো মালিকদের।নির্দিষ্ট কোম্পানির ই রিক্সার দাম প্রায় দু-লাখের কাছাকাছি।ফলে পৌরসভার টিআইএন ও বিএম নম্বর পাওয়া বেশির ভাগ টোটো চালকরা ব্যাটারি চালিত ই রিক্সা কিনতে পারেন নি। এক্ষেত্রে সরকারি সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন টোটো মালিক ও চালকরা।
এবিষয়ে টোটো মালিক বিদ্যুৎ মহন্ত জানান,টোটোর যা দাম তার প্রায় দ্বিগুণ দাম ই রিক্সার।ফলে তাদের ই রিক্সা কিনতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। পাশাপাশি যাদের টাকা আছে তারা ই-রিক্সা কিনছে এবং আরটিও অফিস তাদের নম্বর দিয়ে দিচ্ছে।ফলে রুজি রোজগারেও টান পরছে।এই ক্ষেত্রে ই-রিক্সা কেনার জন্য সরকারি সহযোগিতা পেলে তাদের সুবিধা হত।পাশাপাশি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য আরটিওকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
অন্যদিকে আরটিও আশিস কুণ্ডু সংবাদ মাধ্যমের সামনে টোটো নিয়ে কোন কিছু বলবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584