শ্যামল রায়,পূর্বস্থলীঃ
দীর্ঘদিন ধরেই ভাঙছে গঙ্গার পাড় চিন্তিত হয়ে পড়ছেন গ্রামের বাসিন্দারা।ঘটনাটি পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের পাটুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের ন পাড়া গ্রাম ও দফর পাড়া গ্রাম।ইতিমধ্যেই ভাঙ্গনের কবলে চলে গিয়েছে বহু চাষযোগ্য জমি এবং বাড়িঘর।কয়েক মাস আগেও গঙ্গা গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ খেলার মাঠের একটা অংশ।তাই এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত যে তাদের গ্রামের জমি বাড়িঘর ও গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় চিন্তিত।
দীর্ঘদিন ধরে এই ভাঙ্গন অব্যাহত।গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে দুই তিন মাস আগে শেষ দপ্তর এর তরফ থেকে ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গঙ্গার ভাঙন রোধে বালির বস্তা এবং অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে বাধানোর চেষ্টা করল টেকেনি সবকিছুই ভাঙ্গনের কবলে তলিয়ে গেছে।তাই এলাকার বাসিন্দাদের দাবি ভাঙ্গনরোধে দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করুক সেচ দপ্তর রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার।জানা গিয়েছে যে কাটোয়া থেকে পূর্বস্থলী পর্যন্ত ভাঙ্গন এখনো অব্যাহত। অগ্রদ্বীপের ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লক জুড়ে ভাঙ্গন সবথেকে বেশি।তামাঘাটা থেকে শুরু করে বেশ কিছু এলাকার ভাঙ্গন এখনো অব্যাহত।তবে ন পাড়া গ্রাম এবং দবারা গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন যে যেভাবে পাড় ভাঙছে তাতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে অতি শীঘ্রই তাদের কেউ ভাঙ্গনের কবলে পড়তে হবে বলে রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে ভাঙ্গন।এলাকার বাসিন্দা হাফিজুল শেখ আরফাথ শেখ জহিরুল ইসলাম প্রমূখ দাবি যে ভাঙ্গন রোধে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে তাদের ও বাড়িঘর জমি জায়গা সব গঙ্গার কবলে বিলীন হয়ে যাবে এই আতঙ্কে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে।অথচ ভাঙ্গন রোধে সরকার মাঝে মধ্যে কিছু না কিছু ব্যবস্থা নিলেও আদৌ ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা পাকাপোক্ত কিছুই হচ্ছে না বলে অভিযোগ।পূর্বস্থলীর ভাঙ্গন বাম আমলেও প্রবল আকার ধারণ করেছিল। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত নৌকায় চেপে ভাঙ্গন পরিদর্শন করেছিলেন এবং কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ করলেও আদৌ ভাঙনরোধে পাকাপোক্ত কোনও ব্যবস্থা এখনও চোখে পড়েনি তাই ভাঙ্গন এখনো অব্যাহত বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।ইতিমধ্যেই নওপাড়া গ্রামের ভাঙ্গন যেভাবে শুরু হয়েছে স্থানীয় খেলার মাঠ পর্যন্ত ভাঙ্গনের কবলে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গঙ্গার পাড় ঘেঁষে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে এবং প্রতিদিন কিছু না কিছু অংশ ভেঙে পড়ছে । স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তারাও বলছেন যে তাদেরও জমি-জায়গা গঙ্গার ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। স্থানীয় উপপ্রধান দেবাশীষ দাস জানিয়েছেন যে তার ছয় বিঘা জমি ছিল ভাঙ্গনের কবলে গঙ্গা গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে এখন দেড় বিঘা জমি তে এসে ঠেকেছে।তিনি ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কিন্তু ভাঙ্গনরোধে আদৌ কতটা ব্যবস্থা হবে তিনি ও সঠিকভাবে বলতে পারেননি। তাই বর্তমানে পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের নোয়াপাড়া ও দফর পাড়া গ্রাম দুটি ভাঙ্গনের কবলে পড়ায় চিন্তিত বাসিন্দারা।
আরও পড়ুনঃ ব্রিজ পরিদর্শনে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584