সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
একদিকে টানা বৃষ্টি।অন্যদিকে ভরা কোটাল নোনা জলের আতঙ্কে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রাম। অভিযোগ বিক্ষোভ অনুনয় বিনয় করেও লাভ হয়নি।
অসম্পূর্ন বাঁধ রেখে গেলো সেচ দফতর, দাবি স্থানীয়দের।২০১৭ সালে শুরু হওয়া বাঁধের কাজ অসম্পূর্ণ ভাবে পরে রইলো বকখালির সাগরপারে।
নামখানা ব্লকের ফ্রেজারগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েতের এমন দৃশ্য আজ আতঙ্কিত করেছে গ্রামবাসিদের।দক্ষিন সুন্দরবনের ফ্রেজারগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েতের লক্ষ্মিপুর ও অম্রাবতী গ্রাম।তার পাশে রয়েছে দাস কর্নার হাতিকর্নার।
এই চারটি পয়েন্টের বাঁধ ভেঙে গেলে বঙ্গোপসাগরের ও নদীর জলে প্লাবিত হবে বকখালির বিস্তীর্ণ এলাকা।বিশেষ করে ফ্রেজারগঞ্জ,অম্রাবতি,বকখালি।বাম ক্ষমতায় ফ্রেজারগঞ্জের,অম্রাবতি,লক্ষ্মীপুর ,হাতিকর্নার ,দাসকর্নার তারের বোল্ট করে বাঁধ নির্মানের কাজ হয় ঠিকিই।
কিন্তু সাগরের কোটালের ঢেউ আর ঝোড়ো হাওয়াই তছনছ হয়ে পরে।তার উপর ২০০৯ সালে আইলা যার রেসে বিতশ্রুদ্ধ করে দ্বীপবাসির।২০১১ পালাবদলের পর অনেক স্বপ্ন দেখেছিল বাসিন্দারা।নির্মিত হবে কংক্রিটের বাঁধ ।স্থায়ী হবে বসবাস,এরপর লাইলা, হুদহুদের মতো ঘূর্নি ঝড় কেড়ে নেয় চারটি পয়েন্ট। এলাকার বসত বাড়ি চাষের জমি মাছের ভেড়ী।
আরও পড়ুনঃ অতিবৃষ্টিতে ভাঙলো সাঁকো,দুর্ভোগ এলাকাবাসীর
সর্বশান্ত হয়ে পরেন অনেকে।টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নাজেহাল হতে হচ্ছে তাদের।দেখানেই স্থানীয় প্রশাসন থেকে রাজ্যর কোন মন্ত্রীদের। বিজেপি স্থানীয় নেতার দাবি কাজ যদি কাজের মতো হতো তাহলে আজ সম্পূর্ন হতো বাঁধ । বিডিও থেকে ডিএম সবাইকে নজরে রাখলেও তাদের নজর আছে অন্যত্র।তাই বাঁধ পেয়ে না পাওয়ার মতো অবস্থা।
ভাঙা বাধের আতঙ্ক এরাতে সরজমিনে আসলেন জেলা বিজেপি সহসভাপতি সুফল ঘাঁটু।তিন গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
পরে কেন্দ্রের কাছে বিষয়টি নিয়ে তলব করবেন বলে জানান।ভাঙ্গা অংশ দিয়ে কোটালের জল ঢুকে গ্রাম প্লাবিত করার আতঙ্কে রয়েছে।সামনে ষাঁড়াষাড়ি কোটাল ।
বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হচ্ছে বলে এমনটাই সাধারণ মানুষের দাবি।ভেঙে গেছে তাদের অনেকের বাড়ির অংশ,এরপর সামনে পুজো।ফলে আরো বড় ধরনের দুর্ভোগে পরতে পারে বলে মনে করছে এলাকাবাসী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584