সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
পরিবেশকে রক্ষা করে বন্যপ্রানীকে বাঁচাতে মেলার আয়জন করছে পাথরপ্রতিমা গ্রাম পঞ্চায়েত।দক্ষিন সুন্দরবনের কুমীর প্রকল্পের ভাগবৎপুর মাঠে একদিন ব্যাপী চলবে এই মেলা।২৫ শে ডিসেম্বরের আগে মেলার প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে।কুমীর শুকর হরিণ নানান পাখি বিষধর সাপ আর সুন্দরবনের সুন্দরী, গরান গেঁওয়া হেতাল গাছ পর্যটকদের টান বাড়াতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে।কোথাও চলছে কুমীর আস্তাবলের ঘাস পরিস্কারের কাজ । কোথাও প্লাস্টিক দূরীকরনের কাজ। সময় নষ্ট না করে মেলার দোকান বাঁধতে শুরু করেছেন দোকানদারেরা। পর্যটকদের পাশাপাশি ভাগবৎপুর গ্রাম বাসিদের প্লাসটিক নিয়ে সচেতন গড়তে এবারের মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য।বছরের প্রতিদিন পর্যটকদের আনাগোনা দেখা যায় পাথরপ্রতিমা কুমীরপ্রকল্পের ভাগবৎপুরে। সুন্দরবনের সুন্দরী আর বন্যজন্তুদের দেখতে আজও ভীড় জমায় প্রবীন নবীনেরা।হরিণ শুকর কুমীর দেখতে শীত মরশুমে হাজার হাজার পর্যটক আসেন পাথরপ্রতিমা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাগবৎপুরে।১৯৭৩ সালে স্থাপিত হয় কুমীর প্রকল্পটি।রয়েছে সপ্তমুখী নদী বরাবর দুশো হেক্টর অরন্য ভূমি।যেখানে নানান প্রজাতির কাজ রয়েছে হরিণ শুকর আর বিষধর সাপ।আর এরই মাঝে বেআইনিভাবে তারের বেড়াটপকে ক্ষুন্নিবৃত্তি নিবারণের চেষ্টা ভাগবৎপুরের অনেক বাসিন্দা।রাজ্য ক্ষমতায় আসার পর পরিবর্তন হয়েছে ভাগবৎপুরে কিন্তু বনদফতরের স্থায়ী বনকর্মী থাকায় বিঘ্নিত হচ্ছে জঙ্গল।সমস্যায় পরছে বন্য জন্তু।বনদফতর আধিকারিক দেবব্রত প্রমানিক বলেন বর্তমানে রয়েছে পাঁচজন সরকারি কর্মচারি রয়েছে,অস্থায়ী হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র।আয় ব্যায়ের হিসাব নাই বা বল্লাম । তবু যেটুকু হয় তা দিয়ে চলে না ঐতিহ্যবাহী কুমীর প্রকল্পটি। একদিকে চোরাই কারবারি অন্যদিকে স্থানীয় বেশ কিছু গ্রামবাসীদের মদতে হচ্ছে অরন্য উজার। হচ্ছে বন্যজন্তু নিধনের অভিযোগ গ্রামবাসীদের।বেড়া আছে ঠিকই কিন্তু বনদফতরের আড়ালে চলে বেআইনী অনেক কিছুই।
ক্ষমতায় আসার পর পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে স্বপ্ন দেখচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সচেতনতা সর্তকতা যদি নাই থাকে তাহলে গড়া আর ভাবাটা সব টাই স্বপ্ন থাকবে।যদিও কুমীরের ইহা বড় ডিম ছোট বড় কুমীর দেখতে ইতিমধ্যে ভীড় জমাতে শুরু করেছে পর্যটকেরা।নিরাপত্তা বাড়াতে সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ পঞ্চায়েত ভলেন্টিয়ার থাকবে ভাগবৎপুর মেলায়।মেলা শেষ হলেও নিরাপত্তায় আঁটোসাঁটো করা হবে প্রকল্প চত্ত্বরে।সংস্করনের অভাবে পরে থাকা কাঠের বাংলো পরিচ্ছনতায় ব্যস্ত বনদফতর।পর্যটকদের মন কাড়তে তৎপর পাথর প্রতিমা পঞ্চায়েতও।পঞ্চায়েত সভাপতি শরৎকুমার মাইতির দাবী, পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে আয়জন করা হবে ভাগবৎপুর মাঠে। নিরাপত্তা বাড়াতে পাথরপ্রতিমা থানা বনদফতর পঞ্চায়েত একত্রিত ভাবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: প্রাপ্যদাবীতে শ্রম আধিকারিককে স্মারকলিপি শ্রমিকদের
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584