নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগণাঃ
নৈহাটির বিষ্ফোরণ কান্ডে অবশেষে শাস্তির মুখে পড়তে হল নৈহাটি থানার আইসি-সহ তিন পুলিশ কর্মীকে। সূত্রের খবর, আইসি অনুপম চক্রবর্তী-সহ বোম স্কোয়াডের দুই পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে এই খবর চাউর হতেই ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ মহলে ঝড় ওঠে। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে একাংশের মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ রুটিন বদলি জবাব সিবিআইয়ের, কোন নিয়মে (?) জানতে চান নারদা তদন্তের আধিকারিক
নৈহাটির দেবকে বেআইনি বাজি কারখানর বিষ্ফোরণে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় দুই মহিলা-সহ চার জন। পরে একজনের মৃত্যু হয় কলকাতার হাসপাতালে।ঘটনার একদিন পরে বোম স্কোয়াডকে সঙ্গে নিয়ে নৈহাটি থানা দেবকে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি ট্রাক ভর্তি বাজি, বিভিন্ন রাসায়নিক ও প্রচুর বিষ্ফোরক উদ্ধার করা হয়।
সেগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয় গরিফার গঙ্গা তীরবর্তী ছাঁইঘাট। প্রথম তিনদিন নিষ্ক্রিয় করার কাজ ভালভাবে মিটে যায়, কিন্তু চতুর্থ দিনে ভয়াবহ বিষ্ফোরণের জেরে রাজ্যে শিরোনামে উঠে আসে নৈহাটি।
আরও পড়ুনঃ নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে বিমানবন্দর নির্মাণে প্রশাসনের দিকে আঙুল এলাকাবাসীর
গঙ্গা পেরিয়ে হুগলি-চুঁচুড়া কেঁপে ওঠে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা দুই পাড় মিলিয়ে আটশোতে দাঁড়ায়। মুখ্যমন্ত্রীকে মুখ খুলতে হয়। রাজ্যপাল সরাসরি বিবৃতি দেন।
অস্বস্তি বাড়তে থাকে শাসকদলের। বিষ্ফোরণের দৃশ্য হিরোশিমার পরমাণু বোমার আকারে মুহূর্তে স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সিআইডি থেকে ফরেনসিক বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান তদন্ত করতে।
তবে কী ধরনের, কী জাতীয় বিষ্ফোরক ছিল তার রিপোর্ট এখনও প্রকাশ পায়নি। বোম স্কোয়াডের ভূমিকা বা কোন এক্সপার্ট এই ধরনের বিষ্ফোরক নিষ্ক্রিয়র কাজ করছিল তারও তদন্ত হয়নি। আসল রহস্য সমাধান না করে কাউকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে কিনা, তা জানতে আইসি-সহ তিন জনকে আটক করা হল। কথা উঠছে পুলিশ মহলে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584