শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
এ যেন সাম্প্রতিক আলোড়ন ফেলে দেওয়া ওয়েব সিরিজ “স্ক্যাম ১৯৯২” র ছোট্ট আঙ্গিকে বাস্তব প্রতিফলন। ওয়েব সিরিজে ১৯৯২ ঘটা এক আর্থিক কেলেঙ্কারিতে দেখা যায়, ভুয়ো ব্যাঙ্ক রিসিপ্ট দেখিয়ে একের পর এক ব্যাংকে কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে ছিলেন অভিযুক্ত হার্শাদ মেহতা।
ঠিক একই কায়দায় মধ্য কলকাতার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের ভুয়ো ফিক্সড ডিপোজিটের নথি দেখিয়ে কলকাতার একের পর এক ব্যাঙ্কের কাছ থেকেও হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে মোট ৩৫ কোটি টাকা। এ ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে ৩জনকে। ধৃতদের নাম অরুণ পান্ডে, কৃষ্ণ মল্লিক, এবং সম্রাট পাল। এদের মধ্যে সম্রাট পাল আবার একটি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার।
আরও পড়ুনঃ চিতাবাঘের চামড়া বিক্রি করতে গিয়ে বন দফতরের হাতে কুঁদঘাটে ধৃত ২
জানা গিয়েছে, ২ নভেম্বর কলকাতার মুচিপাড়া থানা এলাকার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ৩৫ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয় ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সম্রাট পালের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে বলা হয়েছিল ওই ব্যক্তি মোটা টাকা সুদ দেওয়ার আশ্বাসে ৩৫ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করিয়েছিল। কিন্তু যে সব নথি দেখিয়ে ওই ডিপোজিট করা হয়েছিল আর ডিপোজিট করার পর তাঁদের হাতে যেসব নথি তুলে দেওয়া হয়েছিল সেই সবই জাল বলে পরে জানতে পারেন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তারা।
আরও পড়ুনঃ জিলেটিন স্টিক উদ্ধার সাঁইথিয়া-মল্লারপুরের রাস্তায়
আরও পড়ুনঃ খাস কলকাতা শহরে ইসলাম জিন্দাবাদ স্লোগান তুলে মহামিছিল!
এরপরেই তাঁরা বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে জানতে পারে গোটা ঘটনার মাস্টারমাইন্ড সম্রাট পাল। তার সঙ্গে আনার জুড়ে রয়েছে কৃষ্ণেন্দু ও অরুণ নামে দুই যুবক। পুলিশ এদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পুরো বিষয়টি সামনে চলে আসে। ওই তিন জনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মোট দেড় কোটি টাকা নগদ, সমপরিমাণের গয়না, সোনার কয়েন উদ্ধার করেছে। মিলেছে দামি গাড়িও। বাকি টাকা কোথায় কীভাবে খরচ হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584