ভাস্কর ঘোষ, জঙ্গিপুর , ১২ নভেম্বর :
রবিবার সকাল থেকেই তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ থানার শিকারপুর গ্রাম । বেশ কিছুক্ষন ধরেই সেখানে চলে ব্যাপক বোমাবাজি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ এলে ঘটনায় জড়িতরা সকলেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এলাকায় তল্লাসি চালিয়ে প্রায় ২০টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ । ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় বিধায়ক আমিরুল ইসলাম ও জেলা পরিষদ সদস্য আনারুল শেখের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছে। মাঝে মধ্যেই এখানে ঝামেলা, সংঘর্ষ হয়। দলীয় পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীও এখানে কোনও সমাধান করতে পারেননি।
এদিন সকালে এলাকার দখল নিয়ে ফের সংঘর্ষ বাধে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। চলে ব্যাপক বোমাবাজিও। প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে এলাকাতে দাপিয়ে বেড়ায় দুই গোষ্ঠীর লোকেরা। খবর পেয়ে সামশেরগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ঘন্টা খানেকের মধ্যে প্রায় ৫০টা বোমা ছোঁড়া হয়।
এর আগেও গত বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে ব্যাপক বোমাবাজি হয় ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই গ্রামে প্রায়দিনই বোমাবাজি হয়। এতে সাধারন মানুষজন রাস্তায় বেরোতে ভয় পান।তাছাড়া বারবার গ্রামে পুলিশ আসাতে নীড়িহ মানুষদের মধ্যে একটা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার সকালে এখানে ব্যাপক বোমাবাজি হয়।বোমার আওয়াজে দেড় মাসের এক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে।
গত কয়েক মাস ধরে সামশেরগঞ্জের শিকদারপুর গ্রামে তৃণমুল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা চলছে।
সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ বলেন, ঘটনায় জড়িতরা সকেই পলাতক।এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, এটা পারিবারিক ঘটনা।এর সঙ্গে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584