নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনোত্তর হিংসার মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের পক্ষেই রায় দিয়েছে। কিন্তু তাতে যে আদৌ চিন্তিত নয় তৃণমূল কংগ্রেস, সেকথাই স্পষ্ট করা হল তৃণমূলের দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলার শনিবারের সম্পাদকীয় কলমে।
এই মামলার রায়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে যে, খুন, অস্বাভাবিক মৃত্যু ও ধর্ষণ- এই ধরণের ‘গুরুতর’ অভিযোগের ক্ষেত্রে তদন্ত করবে সিবিআই এবং ‘তুলনামুলক কম গুরুত্বপূর্ণ’ অভিযোগগুলির তদন্তের জন্য কলকাতা পুলিশের নগরপাল সৌমেন মিত্র, সুমনবালা সাহু, রণবীর কুমারকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে তদন্ত করবে এই সিট।
উল্লেখ্য, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী দুষ্কৃতীদের তালিকায় একাধিক তৃণমূল নেতার যুক্ত থাকার অভিযোগটিও খারিজ করে দিয়েছে আদালত। এই বিষয়টিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় মুখপত্রে।
শনিবারের জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে খুব স্পষ্ট ভাষায় দলের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে যে, মামলার রায় ইতিমধ্যেই সকলে জানেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আদালতের সম্পূর্ণ রায় খতিয়ে দেখছেন। আইনানুগ যা কিছু করার সবই দল করবে।এবং তৃনমূল কংগ্রেস এই বিষয়ে আদৌ উদ্বিগ্ন নয়। এদিনের দলীয় মুখপত্রে আরও লেখা হয়েছে যে, ‘২১টি মৃত্যুর ঘটনার ১৬টিই তৃণমূলকর্মীর, কেন উদ্বিগ্ন হব আমরা? তদন্ত হোক। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট বিজেপি-র দলীয় ইস্তেহার। ইতিমধ্যে হাইকোর্ট তার ১০ রকম ভুল ধরেছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপে তা আরও নিশ্চিত হবে।‘
আরও পড়ুনঃ বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ, নির্দেশ রাজ্য পরিবহণ দফতরের
সম্পাদকীয় কলমে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে রাখা হয়েছে ভোটের সময় নির্বাচন কমিশনের ‘নিরপেক্ষ’ ভুমিকাকেও। সম্পাদকীয় কলমের শেষে লেখা হয়েছে, ‘তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারের কর্মসূচি চলছে চলবে। বাকিটা রাজ্য সরকার ও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বুঝে নেবেন।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584