নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
ফের ডাইনি সন্দেহে পিটিয়ে মারার ঘটনায় চাঞ্চল্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার ঈশ্বরপুর আদিবাসী পাড়া এলাকায়।বিগত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় বেশকিছু গুরু ছাগল মারা গিয়েছিলো এরই পাশাপাশি বেশ কয়েকজন রোগে ভুগছিলো।
গ্রামেরই ডানগুরু শ্যামলী মান্ডী পাঁচজন মহিলাকে ডাইনি বলে চিহ্নিত করে তাদের শাস্তির নিদান দেয়।এদিন গ্রামে আদিবাসী সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান থাকায় দুপুরে ওই পাঁচজন মহিলাকে গ্রামের এক ধর্মীয়স্থানে নিয়ে এসে তাদের সকলকে পেটানোর নিদান দেয় ডানগুরু শ্যামলী মান্ডী।পিটিয়ে এদের মুখ থেকে ডাইনি বলে স্বীকার করানোর জন্যই লাঠি দিয়ে পেঠানো হয় সে সময় ওই গ্রামেরই আদর মনি হাঁসদা(৫০) নামের এক মহিলা পেটানোর সময় লাঠির আঘাতে চোট পেয়ে লুটিয়ো পড়লে সেখানেই মারা যায় আদর মনি হাঁসদা।
আরও পড়ুনঃ পুলিশি তৎপরতায় ডাইনি অপবাদে নিগৃহীতা বৃদ্ধা বাড়ি ফিরলেন
এরপরও ডানগুরুর আদেশ মেনে চলে চরম অমানবিকতা।মৃতদেহ ফেলে রেখে চলে নাচগান।ডানগুরুর কথায় মৃত আদরমনিই ছিলো প্রকৃত ডাইনি।এমন অমানবিক ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা এলাকা।এমন ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যায় ঘাটাল থানার বিশাল পুলিশ।গ্রামে ঢুকতে না পেরে সমস্ত ঘটনা নিরব দর্শক হয়েই দাঁড়িয়ে দেখে পুলিশ।পুলিশের সামনেই চলে মৃতদেহ নিয়ে নাচগান।
পুলিশের ভূমিকা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।অবশেষে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ঘাটাল হাসপাতালে পাঠায় এবং আহতদের চিকিৎসার জন্যও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।এলাকায় থমথমে এখনও পূজো চলায় পুলিশ তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারছে এমনটাই মহকুমা প্রশাসন থেকে জানাযায়।
বর্তমানে ওই গ্রামে বিশাল পুলিশবাহিনী সহ উপস্থিত আছেন ঘাটাল এসডিও,ঘাটাল এসডিপিও,সিও, ওসি সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা।প্রশাসন হাজারও সচেতনতা মুলক কাজ করলেও ডাইনি প্রথা যে এখনও নির্মুল হয়নি তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো ঘাটালের ঈশ্বরপুর গ্রামের ঘটনা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584