নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ
রুগি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে।এস. ডি.পি.ও.-এর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন।ঘটনার সূত্রপাত,গতকাল সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ আলিপুরদুয়ারের ১৮ নং ওয়ার্ডের সঞ্জয় কলোনির বাসিন্দা ষষ্ঠ শ্রেনির ছাত্রি অন্বেষা পোদ্দারকে (১১) বুকে প্রচন্ড কফজনিত কারনে শ্বাসকষ্ট হওয়ায় তাকে নিয়ে আসা হয় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে।

এরপর, এমার্জেন্সিতে নিয়ে এলে তাকে কর্তব্যরত ডাক্তার কিছু ঔষধ লিখে ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ।পরিবারের সদস্যরা তাকে বাড়িতে নিয়ে এসে খাওয়ান লিখিত ঔষধগুলো। এরপরই শুরু হয় কফ-বমি।প্রায় ২/৩ বার বমি করলে তাকে পূনরায় রাত ১২-৩০ মিনিট নাগাদ নিয়ে আসা হয় জেলা হাসপাতালে।তখন কর্তব্যরত অন্য ডাক্তার তাকে ভর্তি করে নেয়। অভিযোগ,রাত ৩টা নাগাদ মৃত্যু হয় রোগী ছাত্রীটির।এরপর,এই মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় জেলা হাসপাতালে।ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবার।তাদের অভিযোগ কেন ছাত্রীটিকে ভর্তি করা হয়নি প্রথমেই।তাহলেই হয়তো বাঁচানো যেতো বাচ্চাটিকে।তবে তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

মৃতের পরিবার জরুরি বিভাগের ডাক্তারের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করেন জেলা হাসপাতাল সুপারের কাছে।ভারপ্রাপ্ত সুপার ডাঃ রাজা সাহা বলেন, বিভাগীয় তদন্ত চলছে। সঠিক কারন জানার জন্য,বাচ্চাটির দেহ ময়নাতদন্তের কথা বলা হলেও পরিবার দ্বিধায়। তবে,দেওয়া ঔষধের থেকে এটা হয়নি বলেই ধারনা তাঁর।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584