পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
বীরভূমের মহম্মদ বাজার থানার সোঁতশাল গ্রামের স্কুল ছাত্র খুনের ঘটনায় মূল সাক্ষীকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তি সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মহম্মদ বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে রফিক শেখকে মারধর করার অভিযোগ উঠল কয়েকজন দুষ্কৃতির বিরুদ্ধে গত শনিবার রাতে তাকে সোঁতশাল গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রের কাছে পথ আটকায় এবং ব্যাপক মারধর করে এবং দুষ্কৃতিরা হুমকি দেয় যে নয়ন শেখের খুনের ঘটনায় যাতে তাদের নাম আছে সেই অভিযোগ তুলে নিতে হবে।রফিক শেখের স্ত্রী কুড়ি জনের বিরুদ্ধে মহম্মদ বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। নয়ন শেখ খুনের ঘটনায় মূল সাক্ষী রফিক শেখ।প্রসঙ্গত নয়ন শেখ(১৩) বিগত ২০১৫ সালের ১৭ মে সন্ধায় বাড়ি থেকে বেড়িয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। সে স্থানীয় কাপাসডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। ঘটনার তিন দিন পর ২০ মে পার্শ্ববর্তী সেকেড্ডা গ্রামের একটি ক্যানলের ধারে শরবনের ভিতর থেকে নয়নের ক্ষতবিক্ষত মৃত দেহ উদ্ধার করে মহম্মদ বাজার থানার পুলিশ। ঘটনায় মহম্মদ বাজার থানায় মৃত নয়নের বাবা আসাতুল্লা শেখ অভিযোগ দায়ের ওই খুনের ঘটনার পর থেকেই সোতসাল গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলে আসছে। রফিক শেখের দাদা সেলিম শেখ বলেন, নয়ন শেখকে যারা মেরে ফেলেছিল তারাই আমার ভাইকে প্রাণে মারার চেষ্টা করে ।পাশাপাশি ভাইকে বলে কোনভাবেই সাক্ষ্য দেওয়া যাবে না বা অভিযোগ তুলে নিতে হবে ।ওই দুষ্কৃতিরা পুরো ফ্যামিলি কে মারতে চাইছে ।আমরা থানাতে কুড়ি জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। ভাই সিউড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাকে রড লাঠি নিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584