নবনীতা দত্তগুপ্ত, কলকাতাঃ
করোনা ব্যধির থেকেও বড় ব্যধি আজ ক্ষুধা৷ কাজ নেই, ব্যবসা বন্ধ। তাই টান পড়েছে অর্থে। ক্ষিদের জ্বালায় ত্রস্ত মানুষ। এই কথা মাথায় রেখে সেই সব আর্ত মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে বহু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে শুরু করে নানা মহলের মানুষ। পিছিয়ে নেই ক্লাব সংগঠন কিংবা পুজো কমিটিগুলিও।
পিছিয়ে রইল না ঠাকুরপুকুর এস.বি পার্ক। ২ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন সকালবেলা দুস্থদের হাতে সংগঠন তুলে দিচ্ছে চাল, ডাল, তেল, আটা, সোয়াবিন সহ আলু, বেগুন, ঝিঙে, পেঁয়াজ। শুধু তাই নয় মহিলাদের হাতেও তুলে দিচ্ছে স্যানিটারি ন্যাপকিন।
আরও পড়ুনঃ গোবরান্ডা গ্রামের আর্তদের পাশে ‘প্রয়াস’
প্রসঙ্গত, প্রায় সকলেই জানি দক্ষিণ কলকাতার প্রান্তিক বড় পুজোগুলির মধ্যে ঠাকুরপুকুর এস.বি পার্ক অন্যতম। প্রতি বছর নানা থিমে সেজে ওঠে এই পুজো। চলতি বছর তাদের পুজোর সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ। পুজোর ফান্ড থেকেই চলছে এই কর্মসূচি। ক্লাবের এক অন্যতম সদস্য সঞ্জয় মজুমদার জানান- “এক চালা ঠাকুর দিয়েও পুজো করা যায়। মানুষ তাতেও খুশি। তাই জাঁকজমকের সঙ্গে সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ পালনের থেকেও বেশি প্রয়োজন মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমরা আপাতত সেটাই করছি।”
সঞ্জয় মজুমদার আরও জানান, খুব ভাল লাগছে এটা দেখে যে আমাদের এলাকার দুই ভাই-বোন তাদের হাতখরচ দিয়ে জমানো ভাণ্ডার নিয়ে এসেছে আমাদের জন্য। দুই ভাই-বোন মিলে ৩০০০ টাকা ওই অসহায় মানুষগুলির জন্য তুলে দিল এস.বি পার্কের হাতে। ওই দুই খুদে সমাজসেবীর নাম- কৌলিক মণ্ডল। সে বিবেকানন্দ মিশনারি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। অন্যজন কাঙখিতা মণ্ডল। সে সেন্ট টেরেসা স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে।
এস.বি পার্ক আরও এক কর্মসূচি নিয়েছে। জোকা থেকে চৌরাস্তা অবধি রাস্তার ট্র্যাফিক পুলিশদেরকে প্রতিদিন দুপুর ১২ টার পর থেকে দেওয়া হবে কেক, বিস্কুট, জ্যুস, জলের বোতল। বলা বাহুল্য, এহেন উদ্যোগ এই প্রথম৷
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584