কবির হোসেন, মুর্শিদাবাদঃ
উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করে তাক লাগিয়ে দিলো আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া পরিবারের দুই কন্যা। সালার থানার অন্তর্গত কাগ্রাম অমরনাথ মুখার্জি হাই স্কুলের এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু দুইজন বিলকিস খাতুন ও সুস্মিতা হাজরা। এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৬৫ ও ৪৬১ নাম্বার পেয়ে নিজের ও পরিবারের নাম উজ্জ্বল করেছে কৃষক ও দিনমজুরের মেয়ে বিলকিস খাতুন ও সুস্মিতা হাজরা।
বিলকিস খাতুনের বাবা জুয়েল শেখের অল্প পরিমাণ চাষের জমি আছে নিজস্ব সেখানে চাষ করেন এবং নয় জনের সংসার কোনোক্রমে সংসার চলে।মেয়ের এই রেজাল্ট এর ফলে তাঁরা এখন চিন্তায় পড়ে গেছেন তার উচ্চশিক্ষার জন্য। মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও ভালো ফল করেছিল বিলকিস। কিন্ত ভবিষ্যতে ডাক্তার হবার ইচ্ছা নিয়ে দেশের আমাদের সেবা করার মানসিকতা দেখে চিন্তিত পরিবারের সদস্যরা বিলকিসের এই রেজাল্টের জন্য সমস্ত কৃতিত্ব তার পরিবার তার স্কুলের শিক্ষক ও গৃহ শিক্ষকদের দেয়। করোনা কালে স্কুল শিক্ষকদের সহায়তায় সময়মতো না পেলেও তা অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল । কিন্ত এক্ষেত্রে তার গৃহশিক্ষকরা বিশেষ করে জিয়াউর স্যার ও কৌশিক স্যার বলে তার অভিমত ।ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে দেশ এবং সমাজের সেবা করতে চান ,বিশেষ করে গ্রামের মানুষের জন্য। একই সমস্যার সম্মুখীন সুস্মিতা হাজরা বাবার পাতু হাজার পেশায় দিন মজুর।সবদিন ঠিকমতো কাজ ও জুটে না। পাতু হাজরার পাঁচজনের সংসার এই অবস্থায় পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া তার পক্ষে অনেকটাই কঠিন যদিও এ বিষয়ে অনেকটা সাহায্য করেছেন তার স্কুল শিক্ষক অন্য শিক্ষকরা বিশেষ করে গায়ত্রী চ্যাটার্জী ।আগামী দিনে উচ্চশিক্ষা কিভাবে চালিয়ে দেবেন সে বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ।ভবিষ্যতে ইতিহাস নিয়ে পড়ে স্কুল শিক্ষক হতে চায় সুস্মিতা হাজরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584