লকডাউনে কাজ হারানো পিতা, প্রতিবন্ধী পুত্রের পাশে জঙ্গলমহলের দুই শিক্ষক

0
40

নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

৭১ দিনে পড়ল লকডাউন। সরকারের তরফ থেকে ছোটো যে ব্যাবসার উপর বাধানিষেধ আছে তার একটি হলো সেলুন। সেরকমই এক পারিবারিক সেলুনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা ২ ব্লকের হুমগড়ে ক্ষৌরকর্ম করে জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত প্রতিবন্ধী শিশুর চিকিৎসার খরচ চালাচ্ছিলেন এক বাবা।

two teachers support to father of Handicapped son | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

লকডাউনের অভিঘাতে ২৫ শে মার্চ থেকে পেশা বন্ধ, খরচ তো আর থেমে থাকবে না। নিরুপায় বাবা প্রভাস খামরই সোস্যাল মিডিয়ার দারস্থ হন।

খবরটি আসতেই পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন জঙ্গলমহলের তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শিক্ষক আন্দোলনের অন্যতম দুই মুখ তথা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তন্ময় সিংহ ও সৌমিত্র চোঙদার। পরিবারের তরফে সাড়া মেলে সঙ্গে সঙ্গেই।

আরও পড়ুনঃ আমপানে বিপর্যস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজে পাঠানো হল উত্তরবঙ্গ থেকে বিশেষ দল

জানানো হয় প্রয়োজনীয়তার কথা। তন্ময় বাবু ও সৌমিত্র বাবু বাচ্চার ওষুধ, বেবিফুড, মশলাপাতি, সরিষার তেল, দৈনন্দিন ব্যবহারের সামগ্রী তুলে দেয় পরিবারের হাতে। প্রভাস বাবু জানান চার বছরের এই শিশুটি ২০১৭ থেকে স্নায়ুর দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে হাঁটা, চলা ও কথা বলার ক্ষমতা হারিয়েছে।

প্রতিকূল পরিস্থিতিতে লড়াই করছে মা-বাবা তাদের একমাত্র বাচ্চাটিকে সুস্থ করার। এমন সময় শিক্ষকদের থেকে সাহায্য পেয়ে আপ্লুত পরিবারটি।

তন্ময় বাবু ও সৌমিত্র বাবু বলেন আমাদের আনা সামগ্রীতে হয়তো পরিবারটির ১৫-২০ দিন চলবে, তবে পরিবারটির অবস্থা খুবই খারাপ। আশু চিকিৎসার প্রয়োজন বাচ্চাটির। তাই আমরাও পরবর্তীতে আরও ভালো চিকিৎসার জন্য প্রশাসনকেও অনুরোধ জানাবো ও সাধ্যমত পাশে থাকবো এই পরিবারের।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here