পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
খয়রাশোলের পর লাভপুর।একই দিনে বীরভূমের দুই থানা এলাকায় দুই তৃণমূল কর্মীর খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো জেলা জুড়ে। খয়রাশোল থানার পর লাভপুর থানার ভাটরা গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় গ্রামের পাশে একটি ফাঁকা মাঠ থেকে এক তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার হল। তৃণমূলের অভিযোগ, এই খুনের পেছনে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মদত রয়েছে।
দলীয় সূত্রে খবর, মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম সহদেব বাগদি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তরুণ চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে সহদেব বাগদি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন শক্তিশালী করে তুলেছিল। তাতেই বিজেপি রাজনৈতিক অস্তিত্ব সংকটে পড়ে গিয়েছিল।
তাই প্রতিশোধ নিতেই এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি।’ যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল জানিয়েছেন, ‘শনিবার দুই তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় বিজেপি কোনোভাবেই জড়িত নয়।
আরও পড়ুনঃ খয়রাশোলে খুন তৃণমূল কর্মী
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চরিতার্থ করার জন্যই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই ধরনের অভিযোগ আনা হচ্ছে। তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণই এই খুন।’ বিজেপির এই যুক্তিকে খারিজ করে দিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ জানান, ‘আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
সেই ভয় এবং আতঙ্ক থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের বলিষ্ঠ সংগঠকদের খুন করে মনোবল ভাঙতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু হিংসার পথ ধরে বিজেপি কখনো রাজনৈতিক ভাবে মানুষের মন জয় করতে পারবে না।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584