দেশদ্রোহিতা আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ দুই মহিলা সাংবাদিক

0
51

নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ

দেশদ্রোহিতা আইনের ১২৪(এ) ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রীম কোর্টে মামলা দায়ের করলেন প্যাট্রিসিয়া মুখিম ও অনুরাধা ভাসিন নামে দুই সাংবাদিক। এই বিষয়টি নিয়ে এ যাবৎ পঞ্চম মামলা দায়ের হল সুপ্রীম কোর্টে।

Supreme court
নিজস্ব চিত্র

তাঁদের পিটিশনে বলা হয়েছে যে আইনের এই ধারার অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ফলে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যমের কন্ঠরোধ করা হচ্ছেএবং সংবাদকর্মীদের শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। বিগত ছয় দশকের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গিয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধি থেকে এই ধারাটি যতদিন না বাদ দেওয়া হবে ততদিন পূর্ণ বাকস্বাধীনতা মানুষ পাবেন না একই সঙ্গে বিঘ্নিত হবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও।

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো থেকে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে এই পিটিশনে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ২০১৬-২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশদ্রোহিতার আইনের আওতায় অভিযোগ দায়েরের পরিমাণ বেড়েছে ১৬০ শতাংশ। পাশাপাশি এই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার ৩.৩ শতাংশ (২০১৯ সাল পর্যন্ত)।

আরও পড়ুনঃ “বিনা বিচারে কতদিন কাউকে জেলবন্দি রাখা হবে?” ফাদার স্ট্যান স্বামীর মামলায় বম্বে হাইকোর্ট

পিটিশনে আরো বলা হয়েছে যে, ১৯৭০ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত আইনের শাসনের বিবর্তনের কথা যদি বিবেচনা করা যায় তাহলে সংবিধানের ১৪, ১৯ ও ২১ ধারার উপযোগিতা কখনোই সাধারণ নাগরিক ভোগ করতে পারবেন না যদি না দেশদ্রোহিতা আইনের ১২৪(এ) ধারা বাতিল করা হয়।

আরও পড়ুনঃ ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক, সোমবারই মনিপুরের সমাজকর্মীকে মুক্তির নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

প্যাট্রিসিয়া মুখিম ও অনুরাধা ভাসিনের দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, আইপিসির ১২৪(এ) ধারাটি ১৯৭৩ সালের আগে পর্যন্ত ‘নন কগনিজেবল অফেন্স’ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ ছিল, তখন তার সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে কোন প্রশ্ন ওঠেনি। কিন্তু বর্তমানে ১৯৭৩ সাল থেকে এটি ‘কগনিজেবল এবং নন বেলেবল’ । এক্ষেত্রে এই ধারার সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here