নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
টুকলি রুখতে এবার কড়া হল ইউজিসি। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের(ইউজিসি) তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে মোবাইল বা অন্য যে কোনও ধরনের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিভাইসের মাধ্যমে টোকাটুকি বা প্রশ্নপত্র ফাঁস আটকাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে জ্যামার বসানোর ব্যাপারটি সরকারি নির্দেশ মেনে নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য ২০১৬ সালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অবৈধ টোকাটুকি আটকাতে সরকার স্বল্প শক্তির জ্যামার বসানোর অনুমতি দেয়। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষদের চিঠি দিয়ে ইউজিসি জানায় যে তাদের প্রতিষ্ঠানে জ্যামার বসানোর সরকারি নীতির অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। তারা আরও জানিয়েছে যে সেই জ্যামার হবে EC CRJ 6B5 মডেলের।
ল্যাব টেস্ট এবং ফিল্ড ট্রায়ালের মাধ্যমে সফলভাবে এর মূল্যায়ন করেছেন আধিকারিকরা এবং পরামর্শও দেওয়া হয়েছে যে, নির্দিষ্ট স্থানের ১০০ মিটারের মধ্যে বেস ট্রান্সসিভার স্টেশন নেই এমন জায়গায় জ্যামার মডেল ব্যবহার করা উচিত।
“প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে বসানো জ্যামারগুলির পরীক্ষা শুরুর আগে যাচাই করা হবে কারণ জ্যামারগুলির কার্যকারিতা বিদ্যুৎ আউটপুট, বিটিএসের সিগন্যাল শক্তি, রিসিভারের সংবেদনশীলতা, ভূখণ্ড, টোপোগ্রাফি এবং দৃষ্টি রেখা, একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিটিএসের উপর ট্র্যাফিক লোড, বিটিএস থেকে জ্যামারের দূরত্বের মতো বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে,” জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
একটি জাতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (ইসিআইএল) এবং ভারত ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড (বিইএল), উভয় সরকারি প্রতিষ্ঠানই পরীক্ষা পরিচালনায় সংস্থাগুলির প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে, পরীক্ষার হলে বসানোর জন্য কম শক্তির জ্যামার ভাড়া দিয়ে থাকে।
নীতি অনুযায়ী, অনুমোদিত নির্মাতাদের থেকে দরপত্র চাওয়ার অনুমতি নেই এবং এমনটা করলে তা নিয়ম লঙ্ঘন হিসাবেই বিবেচিত হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584