১১ লক্ষ পাতার চার্জশিট ধরে পুলিশ হেফাজতে উমরকে জেরা

0
67

ওয়েব ডেস্ক, দিল্লিঃ

১১লক্ষ পাতার চার্জশিট ধরে পুঙ্খানুপুঙ্খ জেরা করতে হবে উমর খালিদকে, আদালতে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর আবার কোর্টে তোলা হবে উমর খালিদকে। উমর খালিদের আইনজীবী সওয়াল করেন যে উত্তর পূর্ব দিল্লির হিংসার সময় অর্থাৎ ২৩ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনি সেখানে ছিলেন ই না।

Umar Khalid | newsfront.co
উমর খালিদ। ফাইল চিত্র

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত দিল্লি পুলিশের দাবি, এই দাঙ্গা সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত। ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত সফরে আসার সময় থেকে দাঙ্গার পরিকল্পনা করেছিলেন উমর খালিদ ও তাঁর সাথীরা। ওইসময় সাধারণ মানুষকে পথ অবরোধের উস্কানি দেন তিনি, সংখ্যালঘুরা ভারতে নির্যাতিত একথা আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরার কারণে। এই নিয়ে আন্দোলন করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্র ও মজুত করা হচ্ছিল।

দিন দশেক আগে উমর খালিদ বলেন, সত্যিই কি ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর গোষ্ঠী সংঘর্ষের নেপথ্যের ষড়যন্ত্র খুঁজতে তদন্ত চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ? না কি সেই তদন্ত ষড়যন্ত্র সিএএ-এনআরসির প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে? ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রবিবার রাতে তাঁর গ্রেফতারির পরে ক্ষুব্ধ পড়ুয়া, সমাজকর্মী, মানবাধিকার কর্মীদের দাবি এবার স্পষ্ট যে, পুলিশের নিশানা সিএএ-এনআরসির প্রতিবাদীরাই।

আরও পড়ুনঃ নির্মলাকে নিয়ে সৌগত’র মন্তব্য ঘিরে হইচই লোকসভায়

সমাজকর্মী হর্ষ মান্দার, যোগেন্দ্র যাদব, অপূর্বানন্দদের অভিযোগ, দিল্লির হিংসার ঘটনার তদন্ত গত কয়েক মাসে যে ভাবে এগিয়েছে, তাতে স্পষ্ট, ‘উঁচু তলার’ নির্দেশ মেনে শুধু প্রমাণ ‘সাজিয়ে যাচ্ছে’ পুলিশ।

যোগেন্দ্র যাদব প্রশ্ন করেন, তদন্ত শুরুর আগেই মার্চ মাসে সংসদে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ চক্রান্তকারীদের নাম বলে দিলেন, কীভাবে সম্ভব? যদি না সেই তালিকা তদন্তের আগেই ঠিক হয়ে গিয়ে থাকে?

আরও পড়ুনঃ পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি

সিএএ, এনআরসি বিরোধী আন্দোলনকারীদের মতে, আগামী দিনের সম্ভাব্য সমস্ত সরকার বিরোধী আন্দোলনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। না হলে অন্তত অর্থনীতির অধ্যাপক জয়তী ঘোষ, সমাজকর্মী যোগেন্দ্র যাদবদের মতো নাম চার্জশিটে থাকত না বলে তাঁদের দাবি।

উমরকে যে ভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা আইনে (ইউএপিএ) গ্রেফতার করা হয়েছে, তার পর সিপিআইএমের অভিযোগ, দিল্লিতে হিংসার ঘটনার আগে যে সমস্ত বিজেপি নেতা সত্যিই উস্কানিমূলক কথা বলেছিলেন, তাদের কাউকে ছোঁয়নি দিল্লি পুলিশ। অথচ এই কড়া আইনে গ্রেফতার করা হচ্ছে একের পর এক ছাত্রনেতাকে, সমাজকর্মীকে।

যে সমস্ত বিজেপি নেতার দিকে প্ররোচনার অভিযোগের আঙুল, তাঁদের অন্যতম কপিল মিশ্র উমরের গ্রেফতারির জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন দিল্লি পুলিশকে। দাবি করেছেন, দীর্ঘ দিন ধরে দিল্লিতে বড় মাপের দাঙ্গার চক্রান্ত করছিলেন তাঁরা। যা নাকি মুম্বইয়ের ২৬/১১-র হামলার থেকে কম ভয়ঙ্কর হত না। সেই কারণে উমরের মতো দোষীদের ফাঁসি কিংবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মতো কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত বলে ভিডিয়ো-টুইটে তাঁর দাবি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here