বিপর্যস্ত কর্মক্ষেত্র, লকডাউনে উর্ধ্বগামী বেকারত্ব হার ২৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গেল

0
42

ওয়েবডেস্ক, নিউজফ্রন্টঃ

অনুমান সত্যি করে পরিসংখ্যান জানা গেল এবার। করোনা প্রতিরোধে লকডাউনের ফলে অর্থনীতিতে যে ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়তে চলছে তার আঁচ আগেই করা হয়েছিল। এবার সেই ধাক্কার একটি ছবি প্রকাশ্যে এলো বেকারত্বের এক সমীক্ষা রিপোর্টে।

graph | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

লকডাউনের জেরে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে বেকারত্বের হার বেড়ে হল ২৩ শতাংশ। সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি( সিএমআইই) নামে মুম্বাইয়ের একটি সংস্থা এই রিপোর্ট দিয়েছে। এই সংস্থাটি দেশে বেকারত্বের হার এবং অর্থনীতির উপর তার প্রভাব নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে গবেষনা করে সংস্থাটি।

করোনা ভাইরাস রুখতে গত ২৫ মার্চ থেকে দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হয়। তার আগেই বিভিন্ন রাজ্যে লক ডাউন শুরু হয়েছিল। কোন কোন রাজ্যে আংশিক লক ডাউন শুরু হয়েছিল। তার জেরে উর্ধবমুখী হয়েছে বেকারত্বের হার।

সিএমআইই জানিয়েছে, মার্চের ২২-২৩ তারিখ যে সপ্তাহ শেষ হয়েছিল, সেই সপ্তাহে বেকারত্বের হার ছিল ৮.৪ শতাংশ। আর গত ২৯ মার্চ যে সপ্তাহ শেষ হয়েছে তাতে বেকারত্বের হার এক লাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩.৮ শতাংশ। তবে ৫ এপ্রিল শেষ হওয়া সপ্তাহে বেকারত্বের হার কিছুটা কমেছে। সিএমআইই জানিয়েছে সেই সপ্তাহে বেকারত্বের হার ছিল ২৩.৪ শতাংশ।

সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত মার্চে দেশে কর্মসংস্থানের হার রেকর্ড ৩৮.২ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। বিষয়টিকে ‘রেকর্ড পতন’ হিসাবে চিহ্নিত করেছিল সিএমআইই। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে,’ চলতি জানুয়ারি থেকে যে পতন হয়েছে, তা অত্যধিক- প্রায় অভাবনীয়। গত দুই বছর স্থিতিশীল থাকার ক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়ার পর চলতি বছর মার্চে তা মুখ থুবড়ে পড়েছে।‘

অন্যদিকে শ্রমিকদের কাজে অংশগ্রহনের হারও ৩৯ শতাংশে নেমে এসেছে। কর্মসংস্থানের হারও ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। গত ১ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে শ্রমিকদের কাজে অংশগ্রহনের হার ৩৬ শতাংশ যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৪২.২ শতাংশ। একইভাবে কর্মসংস্থানের হার ১ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছিল ২৭.৭ শতাংশ।

বেসরকারি এই সংস্থার পক্ষ থেকে টেলিফোনে কথা হয়েছে ৯৪২৯ জনের সাথে সেই কথোপকথনের ভিত্তিতে সংগৃহিত তথ্যের তৈরি করা হয়েছে এই সমীক্ষা রিপোর্ট। সমীক্ষক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রথম দেশে ৪২ শতাংশের নীচে নেমেছে শ্রমিকদের কাজে অংশগ্রহণের হার।

একই সাথে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৯০ লাখ শ্রমিক কমেছে। সেই সময়ের মধ্যে চাকুরের সংখ্যা ৪১.১ কোটি থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯.৬ কোটি। অপরদিকে বেকারের সংখ্যা ৩.২ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ৩.৮ কোটি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here