নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
একেই নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, এমনই অবস্থা পরিবারের। সেই অবস্থায় এক সঙ্গে তিন কন্যার জন্ম। ভরণপোষণের কথা ভেবে সরাসরি পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হলেন মহিলা। সব কিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিলেন পঞ্চায়েত সভাপতি। এমনই এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর এলাকায়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে সামান্য জমির মালিক শেখ সাজ্জাদ৷ কোনও ক্রমে এখানে ওখানে কাজ করে সংসার চলে৷ এক বছর হল বিয়ে করেছিল সে। এরপর স্ত্রী পারভিনা বিবি সন্তান সম্ভবা হয়। সাজ্জাদের স্ত্রীকে দেখে চিকিৎসকরা জানান, একটির বেশি সন্তান রয়েছে পারভিনার গর্ভে। শেষে ডাক্তারদের কথাই ঠিক হয়েছে। গত ৫ অক্টোবর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে তিনটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন কেশপুর এলাকার বাসিন্দা পারভিনা বিবি। পরিবারের তরফ থেকে তাদের নামও দেওয়া হয়েছে- জয়নাব খাতুন,রোকিয়া খাতুন ও শাকিলা খাতুন।একসঙ্গে তিন কন্যা সন্তান নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় পড়ে যান সাজ্জাদ আলি ও তাঁর স্ত্রী ৷
সৌভাগ্যক্রমে জন্মের পর তিন শিশুসহ মাও সুস্থ আছেন। কিন্তু খেটে খাওয়া পরিবারে একসঙ্গে কীভাবে পালন করবেন তিন কন্যাকে , তার চিন্তা শুরু হয়ে যায় পরিবারে পরিজনের৷ সুস্থ্য থাকলেও তাদের লালনপালনে খরচ তো রয়েছেই , সেই সঙ্গে তিন সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন, পরিস্থিতি দেখে শুক্রবার কন্যা সন্তানদের নিয়ে পারভিনা বিবি শাশুড়ির সঙ্গে সটান হাজির কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে৷ সেখানে সভাপতি শুভ্রা সেনগুপ্তের সঙ্গে দেখা করে আবেদন করেন কিছু একটা রাস্তা বের করে দেওয়ার ৷ না হলে চালাতে পারবে না এদের জীবনযাপন।
বিষয়টি একেবারে আলাদা মনে হলেও পঞ্চায়েত সমিতির হাতে এই ধরনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার কোনও রাস্তা পাননি সভাপতি শুভ্রা সেনগুপ্ত৷ তিনি বলেন, সকলেই সুস্থ্য ও স্বাভাবিক। তিন সন্তান বলে সহযোগিতা করার কোনও নিয়ম নেই। তবুও আমরা সমিতির অফিসের কর্মীরা চাঁদা তুলে সহযোগিতা করেছি যতখানি সম্ভব, পরে বাকি চেষ্টা করে দেখব।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584