নিজস্ব সংবাদদাতা,দক্ষিন দিনাজপুরঃ
হিলির যমুনা নদীর উপর নির্মিত ঐতিহাসিক সেতুটি আজ বিপর্যয়ের মুখে। ৫১২ নং জাতীয় সড়ক নির্মাণ ও সম্প্রসারণের জন্য এই সেতুটি নিশ্চিহ্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।বালুরঘাটের প্রবাদপ্রতিম স্বাধীনতা সংগ্রামী সরোজ রঞ্জন চ্যাটার্জীর অন্যতম পরিকল্পনা ছিল বোম মেরে এই সেতুটি উড়িয়ে কার্যত যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করা যাতে ভারত ছাড়ো আন্দোলন অপ্রতিহত ভাবে ছড়িয়ে পড়ে বালুরঘাট সহ গোটা জেলায়।
সশস্ত্র বিপ্লবের অঙ্গ হিসেবে নেতাজীর বারো দফা পরিকল্পনার অন্যতম ছিল এই সেতু বিচ্ছিন্ন করে ইংরেজ সেনাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা।বালুরঘাটের ডাঙ্গী এলাকা থেকে যে মিছিল সেদিন বালুরঘাট গামী হয়েছিল,তার প্রভাব সম্পর্কে আমরা সবাই প্রায় অবহিত।
আরও পড়ুনঃ অবশেষে সূচনা হলো মরা তোর্সা নদীর সেতু নির্মাণ কাজ
কিন্তু সেসময় যমুনা সেতু বিচ্ছিন্ন না করলে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া মুশকিল ছিল কারণ হিলি তখন শহর আর বালুরঘাট সাবডিভিশন।সমস্ত রেল যোগাযোগ ছিল এই হিলি দিয়ে।কলকাতা থেকে শুরু করে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের সাথে একমাত্র রেল যোগাযোগ হত এই হিলি দিয়ে।
যাতায়াতের সুবিধার জন্য তখন হিলি – বালুরঘাটের মধ্যে বাস যোগাযোগের রাস্তাটি পাকাপোক্ত নির্মাণ করা হয়েছিল প্রশাসনিক সুবিধার জন্য। এইটি সমগ্র উত্তরবঙ্গের প্রাচীনতম বাসরুট। একাঙ্ক নাটকের জনক মন্মথ রায় এই রুটে প্রথম বাস চালিয়েছিলেন – নাম ছিল আত্রেয়ী।
ভারত তথা জেলার স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিলির যমুনা সেতু।বালুরঘাটের চকভৃগু সেতু বা গ্যারিটি সেতুর থেকেও অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে এ সেতু । এই সেতুর উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ হলেই জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকার বিশেষ করে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রমাণ তার সাক্ষ্য দেবার জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584