উত্তর প্রদেশে কংগ্রেস, ভীম আর্মি পার্টির কর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর

0
77

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

হাথরাস গণধর্ষণ কান্ডে ৫০০’র বেশি কংগ্রেস কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। মামলা দায়ের ভীম আর্মি পার্টির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ-সহ আরও ৪০০ জনের বিরুদ্ধেও।

public protest | newsfront.co
হাথরাসে কংগ্রেসের প্রতিবাদ

হাথরাসে উচ্চবর্ণের চার যুবকের দ্বারা গণধর্ষণ ও নির্মম অত্যাচারে দলিত তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। এই ঘটনা ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের জেরে ৫০০ জনেরও বেশি কংগ্রেস কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলো উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ জঙ্গীপুর মহকুমা হাসপাতালে কংগ্রেসের ডেপুটেশন

গত সপ্তাহে, হাথরাস কান্ডে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, পুলিশের প্রবল বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয় দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানায় নয়ডা এলাকা। পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে মাটিতে পড়ে যান রাহুল। এই ঘটনায়, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮, ২৬৯, ২৭০ ও অতিমারী বিপর্যয় আইনের ৩নং ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ৫০০জন কংগ্রেস কর্মীর বিরুদ্ধে।

কংগ্রেস কর্মীদের পাশাপাশি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ ও আরও ৪০০ জনের বিরুদ্ধে। রবিবার হাথরাসে নির্যাতিতার গ্রামে যাওয়ার জন্য় ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করার দায়ে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ হাথরাস কাণ্ডে ফরেনসিক ল্যাবরেটরির রিপোর্ট মূল্যহীন, দাবি চিকিৎসকের

একইসঙ্গে অতিমারী বিপর্যয় আইনেও মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হাথরাসের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আজাদ। একইসঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারকে নিরাপত্তা প্রদানের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

হাথরাসের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে এদিন সোচ্চার হয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীও। টুইটারে বহরমপুরের সাংসদ লিখেছেন, সব ঘটনায় সরব হওয়া মোদীজি এমন একটা ঘটনায় চুপ কেন?কোথায় তাঁর ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ সবকা বিশ্বাস’ ? হাথরাসের পর ভন্ডামি বেরিয়ে পড়েছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here