সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
বিপন্ন বসুন্ধরা।বিপন্ন সুন্দরবন।ম্যানগ্রোভ ধংসের জেরে বিপন্ন হয়ে পরেছে দক্ষিন সুন্দরবনের অধিকাংশ অংশ।সুন্দরবনকে বাঁচাতে গাছ তৈরীর হাল ধরেন সুন্দরবনের রমেন্দ্রনাথ পট্টনায়ক।কুড়ি বছর আগে থেকে দেশি ও বিদেশী গাছের নার্সারি করে বিনি পয়সায় গাছ বসানোর শপথ নেন রমেন্দ্রনাথ। নেশা আজ পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার কাছে।নামখানার কিরন বালা নার্সারি বিভিন্ন গাছে সমৃদ্ধ।গাছপ্রেমী রমেন্দ্রনাথ সুন্দরবনবাসীর কাছে গৌরব ময় উঠেছেন।এই গ্রামে বাস পঁয়তাল্লিশ বছরের রমেন্দ্রনাথ পট্টানায়কের।
ছোট থেকেই উদ্ভিদের প্রতি ছিল তাঁর প্রেম।প্রাকৃতিক দুর্যোগের বাঁধ ভাঙার সমস্যা আজও আছে এই গ্রামে।প্রাকৃতিক দুর্যোগ একটা সময় আঘাত এনেছিল রমেন্দ্রনাথ পট্টানায়কের পরিবারদের।ভাঙা বাঁধের নোনাজল গ্রাস করেছিল এলাকা।ম্যানগ্রোভ ধংসের জেরবার যাতে না হয় সেই কারনে শুরু করেন উদ্ভিদ চাষ। আজ বিভিন্ন জায়গাতে রয়েছে তাঁর তৈরী উদ্ভিদ।
আরও পড়ুনঃ প্রান্তিক রুক্ষ মাটিতে ফলছে সোনা
কিরন বালা নার্সারিতে হওয়া গাছ আজ পারি দিচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।রয়েছে আম,জাম,কাঁঠাল।আম গাছ রয়েছে কহিতুন,আলফানসো,আম্রবালি,মল্লিকা,ভাজতারার মতো প্রজাতির গাছ।এছাড়া আমলকি,পুদিনা,অ্যলোবেরা।নার্সারিতে রয়েছে দেশি ও বিদেশি গাছ।এছাড়া গুডমার্ক অর্থাৎ সুগারগাছ।রয়েছে টাকা গাছ যা কিনা বিদেশের বাজারে বেশ মূল্যবান বলেই পরিচিত।
কেরলের নারকেল গাছও চাষ করছেন করছেন তিনি। সুন্দরবনে সুন্দরি, গরান ,পাম গাছও রয়েছে তাঁর চাষের ক্ষেতে।শ্রমিকরা দিনরাত করে কাজ করেন।বসুন্ধরা বাঁচানোর শপথ নিয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে শপথ নেন গ্রামবাসিরাও।বছরের প্রতিটি দিন ব্যস্ত থাকতে হয় নতুন নতুন গাছ চারা তৈরি করার।বিশেষ করে বর্ষাকালে।নাওয়া খাওয়া ভুলে চলে এই কাজ।প্রবীন থেকে নবীন সবাই এখন গাছের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছেন।সাড়ে তিন বিঘা জায়গার উপর করা হয়েছে নার্সারি ।
জৈব্য আর রাসায়নিক সারের তৈরীর গাছ পাড়ি দিচ্ছে এই জেলার পাশাপাশি ভিন জেলা ভিন রাজ্য এমনকি বিদেশের মাটিতেও।নোনা হাওয়াতে অতিকষ্টে গাছ করে বিনিপয়সায় গাছ বসাচ্ছেন শিয়ালদহ নামখানা শাখার বিভিন্ন স্টেশনে। কখনো বা পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি অথবা স্কুল রাস্তার ধারে ধারে।ভাঙা বাঁধের আতঙ্ক এরাতে নদীর পার গুলিতে গাছ বসাচ্ছেন রমেন্দ্রনাথ পট্টানায়ক হাতের তৈরী নার্সারি গাছ।
যতো দিন বাঁচবেন ততোদিন গাছ নিয়ে থাকবেন,দাবি রমেন্দ্রনাথ বাবুর।উদ্ভিদ প্রেমী রমেনন্দ্রনাথের মতো একই পথে চলতে চাই গ্রামের মানুষেরা।তাঁর এমন কাজে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে।পরিবারের সহমত রয়েছেন রমেন্দ্রনাথের এই মহৎ কাজে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584