হোগলা পাতার মাদুরে গ্রামীণ সুখ নিদ্রা

0
295

পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ

হোগলা পাতার মাদুর তৈরি করে কর্মংস্থানের নতুন দিশা দেখাচ্ছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার ধনকৈইল হাটপারা এলাকার একাংশের মানুষ। মজে যাওয়া শ্রীমতি নদীর বুক থেকে আগাছা হিসাবে জন্ম নেওয়া হোগলা পাতা দিয়ে এই মাদুর তৈরি হচ্ছে।

হোগলা পাতার মাদুর। নিজস্ব চিত্র

যে মাদুর শীতের মরসুমে বিছানা গরম রাখতে অতন্ত কার্য্যকর। এই শিল্প ক্রমেই বেড়ে চলেছে রাজ্য সরকার হাত বাড়াতে এই হোগলা পাতার মাদুর শিল্প আরো বিস্তার লাভ করতে পারে বলছেন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা শিল্পীরা।

সোদল দেবশর্মা। নিজস্ব চিত্র

প্রতিবছর শীতের শুরুতে এই হোগলা পাতার মাদুর গড়ার কাজ শুরু হয়।চলে কম বেশি তিন মাস কাজ চলে জোরকদমে।বছরের অন্যসময়ে এই শিল্পীরা জমিতে কৃষিকাজ বা দিন মজুরি খেটে সংসার চালায় এই পেশায় যুক্ত মানুষেরা।এই এলাকার কয়েশো পরিবার বসবাস এর মধ্যে হাতে গোনা কিছু পরিবার এই হোগলা পাতার মাদুর তৈরি করে।হাতের পাশে কালিয়াগঞ্জের ঐতিহাসিক ধনকৈইল হাট থাকায় শিল্পিরা তাদের হাতের তৈরি মাদুর বিক্রি করে।মাপ অনুসারে মাদুর ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়।ক্রেতা অবশ্যই নিম্ন বিত্ত মানুষ, যাদের গদি কেনার সামর্থ্য নেই,সেই মানুষের বিছানায় তোষকের নিচে এবং বাড়িতে লোকজন এলে বাড়ির আঙিনায় বসতে দিতে এই মাদুর পেতে দেয়। তাই হোগলা পাতার মাদুর চাহিদা ভালোই আছে গ্রাম গঞ্জে।তাই এখনো মাদুর বানাতে ব্যস্ততা তুঙ্গে শিল্পীদের।

রতন দেবশর্মা। নিজস্ব চিত্র

এই পেশায় সাথে যুক্ত থাকা রতন দেবশর্মা ও সোদল দেবশর্মা জানান,এই পেশা তাদের বাপ ঠাকুরদার আমলের ব্যবসা।তারা পূজার আগে শ্রীমতি নদীতে এক হাটু জলে হোগলা পাতার জঙ্গলে নেমে, পাতা কেটে নিয়ে এসে তা শুকিয়ে মুঠো মুঠো করে জমিয়ে রাখেন। নভেম্বর মাসের শেষের দিক থেকে শুকিয়ে রাখা হোগলা পাতার দিয়ে মাদুর তৈরী করেন।

মাদুর গড়ছে শিল্পীরা। নিজস্ব চিত্র

হোগলা পাতার তৈরি মাদুর একেরা নিরাপদ ব্যবহারের দিকে।এই পাতা খড়ের মতো,মোটা এবং নরম হয়।শীতের সময় গরম আর গরমের সময় শীতল হয়ে থাকে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here