মানুষের ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে গ্রাম উন্নয়নে ভারতীয় জীবনবিমা সংস্থা

0
88

সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ

অনুন্নয়ন ভরা গ্রামে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে উন্নয়নের ডাক নিউ পল্লি মঙ্গল সমিতি সহ ভারতীয় জীবন বিমা নামে দুই সংগঠনের।গ্রামের মানুষের ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে আজ এগিয়ে এলেন ভারতীয় জীবন বিমা।এক লক্ষ টাকার পিছনে ৩৫ হাজার টাকা গ্রাম্য উন্নয়নে তুলে দিয়ে নজর কারলেন সংগঠন কর্মকর্তারা। সুন্দরবন লাগোয়া ডায়মন্ড হারবার দু’নম্বর ব্লকে প্রথম বিমা গ্রাম হিসাবে পরিচিতি পেল আসুরালি গ্রাম।স্বাধীনতার পর গ্রামে একছিটে উন্নয়ন আজও মেলেনি।প্রায় দু’হাজার গ্রামবাসির প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হত রাস্তাঘাট পানীয় জল সমস্যা ছিল,ছিল বিদ্যুতের সমস্যা।সময়ের সাথে সাথে বিদ্যুৎ সংযোগ হলেও,যাতায়াত বেহাল রুপ নেম় আসুরালি গ্রামটির। শিক্ষা আর কর্মসংস্থান প্রায় হারিয়ে যেতে বসে গ্রাম থেকে।বারংবার বঞ্চিত হতে হতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে এই গ্রামের বাসিন্দাদের।নিজেরাই ঠিক করলেন প্রশাসন নয় নিজেরাই গড়বেন উন্নত গ্রাম।ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে প্রথম এই গ্রাম বিমা গ্রাম হিসাবে পরিচিত পায়।

ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে অংশ নেওয়া গ্রামবাসী।নিজস্ব চিত্র

মনিকা গ্রামে থাকা নিউ পল্লি মঙ্গল সমিতির সহযোগে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে শতাধিক গ্রামবাসী অংশ নেন ক্ষুদ্র সঞ্চয় বিমাতে।যা আজ ভারতীয় জীবন বিমা এক লাখে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করবে গ্রামের উন্নয়নে। গ্রামবাসীদের সহযোগের হাত বাড়ানো দেখে শীতকালীন বস্ত্র বিতরন করেন দুই সংগঠন।১৯৫৬ সালে ভারতীয় জীবন বিমা স্থাপিত হওয়ার পর ৩০ শতাংশ মানুষ জীবন বিমা আওতায় যায়।ধীরে ধীরে ভালো কাজে এগিয়ে আসছেন তারাও।যারা পরিষেবায় সুযোগ সুবিধা পেতেন তারা মধ্যবিত্ত থেকে ধনী সম্প্রদায় মানুষ ।এপিজে আব্দুল কালাম ঠিক করেন এবার গরীবদের জন্য সঞ্চয়ের প্রসার ঘটাবেন।তার পর থেকে শুরু পথ চলা।যা প্রত্যন্ত গ্রাম গুলিতে উন্নয়নের কাজ দেখাবে।২০০৬ সালে প্রথম ডায়মন্ড হারবার দু’নম্বর ব্লকে মনিকায় নিউপল্লি সমিতির মাধ্যমে শুরু হয় জীবন বিমার মাধ্যমে সঞ্চয় করার কাজ। তার পর থেকে ধীরে ধীরে গ্রামের পর গ্রাম আজ বিমা গ্রাম পেতে মরিয়া হয়ে উঠছে।এদিন নিউ পল্লি মঙ্গল সমিতির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফলতা বিধানসভার মনিকা গ্রামবাসি।ছিলেন এলআইসির ডিরেক্টর পি এন বোস ।এলআইসির  রিজিউনাল ম্যানেজার এস দাস গুপ্তা,সমিতির সহ সম্পাদক দেবাশিস মিত্র, কলকাতার কেএমডিও রিজিউনাল ম্যানেজার, নিউ পল্লিশ্রী সমিতি কর্নধার উত্তম কুমার বৈদ্য।

উত্তম কুমার বৈদ্য,নিউ পল্লিশ্রী সমিতির কর্নধার।নিজস্ব চিত্র

উত্তম কুমার বৈদ্য জানান ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা হয় নিউ পল্লি সমিতি । স্বাস্থ্য, শিক্ষা,যাত্রা পালা,শৌচাগার করেছে এই সংগঠন।রক্তদান শিবির করা হয়েছে,যা সাধারন মানুষের সার্থে। ৫০০০ লোককে ক্ষুদ্র বিমা যোজনায় আওতায় আনা হয়েছে শুধু মাত্র এই এলাকায়।আগামী দিন আরো বেশি মানুষ আসবেন।নিজেদের জন্য নিজের গ্রামকে সুরক্ষিত করার জন্য।চিট ফান্ডে সর্বস্ব হারানোর পর মানুষ দিশেহারা,তাই স্বল্প সঞ্চয়ের মধ্য দিয়ে এই পথ বেছে নিয়েছেন অনেকে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here