পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
বিশ্বভারতীর পৌষ মেলা মাঠে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল সেই বিতর্ক থামাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় হাইকোর্টকে।
হাইকোর্টের নির্দেশে চার সদস্যের একটি কমিটি তৈরি হয়। গত শনিবার সেই কমিটি বিশ্বভারতীতে এসে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে উপাচার্যকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয় কমিটির তরফে মেলার মাঠ এবং বিশ্বভারতীর আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে কোনরূপ মতামত দেবার প্রয়োজন নেই আপাতত, তবে জনবিক্ষোভে বিশ্বভারতীর যে গেটটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল তা অবিলম্বে পুননির্মাণ করে দিতে হবে বিশ্বভারতীকে।
পৌষ মেলার পূর্ব পল্লী মাঠের পশ্চিম দিকে যেখানে চার সদস্যের কমিটির নির্দেশে ভাঙাগেটের নির্মাণকাজ চলছে সেই এলাকায় হাতে পোস্টার নিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন বিশ্বভারতীর বেশকিছু বর্তমান এবং প্রাক্তনীরা।
আরও পড়ুনঃ মেদিনীপুর সদর ব্লকের আউসাবাঁদী গ্রামে কৃষি প্রশিক্ষণ শিবির
মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের গঠিত চার সদস্যের কমিটির কাছে তারা বিশেষভাবে অনুরোধ জানায়, তাদের সাথে অর্থাৎ বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের সাথেট নির্মাণ কাজ নিয়ে কথা বলা হোক। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের দাবি, শান্তিনিকেতন তথা বিশ্বভারতীর পরিবেশকে জেলখানার মতো পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলা রবীন্দ্র আদর্শের পরিপন্থী নয়। তাই কোন প্রকারে শান্তিনিকেতনকে উঁচু পাঁচিল দিয়ে জেলখানায় পরিণত করা যাবে না।
তাই মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আজ এই অবস্থান বিক্ষোভ, এমনটাই দাবি বিশ্বভারতীর ছাত্র প্রীতম দাসের। যদিও মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বীরভূম জেলা প্রশাসন এবং বিশ্বভারতীর যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল। পরবর্তী প্রক্রিয়ায় শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা, আন্দোলনকারী এবং পাঁচিল সংক্রান্ত মানুষজনদের সাথে কথা বলবে চার সদস্যের কমিটি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584