মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
উন্নয়নের বার্তা দিয়েই প্রচার যুদ্ধে সামিল হবে তৃনমূল।আজ কলকাতা থেকে কোচবিহারে এসে পৌঁছেছেন তৃনমূল কংগ্রেসের কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী পরেশ চন্দ্র অধিকারী। এরাজ্যের মানুষ প্রার্থীকে দেখে নয়,মমতা ব্যানার্জীকে দেখে ভোট দেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারী তৃনমূল কংগ্রেসের নতুন মুখ।
সম্প্রতি বামেদের সঙ্গ ত্যাগ করে ঘাস ফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন তিনি।এদিন পদাতিক এক্সপ্রেসে তিনি নিউ কোচবিহার স্টেশনের নামেন।এরপর তাকে বর্নাঢ্য বাইক মিছিলের মাধ্যমে কোচবিহার শহরে দলের জেলার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
সেখানে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, এই কেন্দ্রের তার জয় নিশ্চিত মানুষ উন্নয়নের সাথে আছে এবং এই উন্নয়নের কান্ডারি এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি বিভেদের রাজনীতি করে এক অরাজক অবস্থার সৃষ্টি করতে চাইছে গোটা দেশে।মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষে, তাঁরা এই ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি পছন্দ করেননা।তাই তৃনমূলের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। প্রসঙ্গত তিনি বলেন, ‘আসলে সব কেন্দ্রেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের মুখ। প্রার্থী এখানে বড় কথা নয়।’
২০১৪ সালে এই কেন্দ্র থেকে তৃনমূল প্রার্থী রেনুকা সিনহা জয়ী হয়েছিলেন।তিনি প্রয়াত হলে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। সেখানে প্রার্থী ছিলেন পার্থপ্রতিম রায়।বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন তিনি।এবার দলের পক্ষ থেকে তাকে টিকিট দেওয়া হয়নি।সদ্য দলে আসা পরেশ অধিকারী এবার তৃনমূল প্রার্থী।তাকে জয়ী করতে পার্থ বাবু একটি বড় ভুমিকা নেবেন বলে তাঁর আশা।ইতিমধ্যে পার্থ বাবুর সাথে তাঁর কথাও হয়েছে বলে তিনি জানান।পরেশ বাবু এই জেলার মানুষ হলেও এই লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার নন সেক্ষেত্রে ভোটের বাক্সের কোনও প্রভাব পরার সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের আটবারের জয়ী অমর রায় প্রধানও হলদিবাড়ির মানুষ ছিলেন।তাই এটা খুব একটা বড় বিষয় নয়।
আরও পড়ুনঃ মন্দিরে মায়ের পুজো দিয়ে শুরু ভোটের প্রচার
এদিন দলীয় কার্যালয়ে তৃনমূল প্রার্থীকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।সেখানে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার পৌরসভার পুরপ্রধান ভূষণ সিং, তৃনমূল কংগ্রেসের কোচবিহার শহর ব্লক সভাপতি নিরঞ্জন দত্ত প্রমুখ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584