নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
ঝাড়খন্ড রাজ্যের টাটানগর থেকে পশ্চিমবঙ্গের মালদা ও মুর্শিদাবাদ এলাকা থেকে কিছু পরিযায়ী শ্রমিক কাজ করতে গিয়েছিল। লকডাউন এর ফলে তাদের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে তারা বাড়ি আসার চেষ্টা করলেও আসতে পারেনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনকে চিঠি লিখে রাজ্যের আটকে পড়া শ্রমিকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু শ্রমিকদের বক্তব্য তাদের কোনোক্রমে থাকার জায়গা দেওয়া হলেও খাওয়া-দাওয়ার কোন ব্যবস্থা ছিল না। না খেয়ে দেয়ে চারদিন ছিলাম।
আরও পড়ুনঃ ভিড় এড়াতে ইসলামপুর মহকুমার ৪৮ টি বাজারকে স্থানান্তরিত করলো পুলিশ
আর বাইরে থেকে টাকা দিয়ে খাবার কেনার মত আমাদের কাছে টাকা ছিল না। ভেবেছিলাম ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লক ডাউন থাকবে। তারপর ১৫ এপ্রিল লকডাউন উঠে যাবে আমরা বাড়ি যেতে পারবো। কিন্তু ৩ রা মে পর্যন্ত লকডাউন চলবে।
তাই নিরুপায় হয়ে আমরা টাটানগর থেকে পায়ে হেঁটে মুর্শিদাবাদ মালদা যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়ি। পায়ে হেঁটে মেদিনীপুর শহরের ধর্মা এলাকায় এলে ট্রাফিক পুলিশ বুধবার সকালে আমাদের আটকে দেয় বলে ওই পরিযায়ী শ্রমিকেরা জানান। এগারো জন শ্রমিক কে এক সঙ্গে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ট্রাফিক পুলিশ।
এরপর ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানায় ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। কোতয়ালী থানার পুলিশ খবর পেয়ে ধর্মা এলাকায় যায় এবং ওই এগারো জনকে আটক করে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ প্রশাসন।
লকডাউন চলাকালীন ওই এগারো জন পরিযায়ী শ্রমিকরা মেদিনীপুরে থাকবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। সেই সঙ্গে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় বুধবার সকালে। পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584