মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
দুদিনের লাগাতার বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে উঠেছে কোচবিহার শহর। রবিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি অবিরাম চলছে। কোচবিহার পৌরসভার কুড়িটি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রায় অধিকাংশই জলমগ্ন হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে রাজবাড়ী সংলগ্ন এলাকায় বেশি করে জল দেখা যায়। কোচবিহার পৌরসভার ৩ নং, ৪ নং, ৭ নং, ১১ নং, ১২ নং, ১৩ নং, ১৮ নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন এলাকায় হাটুর উপর জল জমে গেছে। রাস্তার উপরে এত জল সাধারণ মানুষ স্বভাবতই ক্ষুব্ধ।
জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে কোচবিহার শহরের বিভিন্ন রাস্তার সংস্কারের কাজ চলছে। ফলে কোচবিহার শহরের বেশ কিছু রাস্তা উঁচু করা হয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ জন্মেছে। কারন রাস্তা সংস্কারের সময় কোথাও চওড়া ও উঁচু করার ফলে জল বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরের মধ্যে জল ঢুকে যাচ্ছে। গতবছর পর্যন্ত ঠিক ছল এবার তার প্রভাব বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সবে মাত্র বর্ষা শুরু হয়েছে তাতেই সারা শহর জলমগ্ন হয়ে উঠছে তার ফলে শহরের মানুষের মধ্যে একটা চিন্তায় কপালে ভাজ পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোচবিহার পৌরসভার ৩ নং, ৪ নং, ৭ নং, ১১ নং, ১২ নং, ১৩ নং, ১৮ নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল অবস্থার জন্য এই অল্প বৃষ্টিতেই শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের জল জমে যায়। এতে চূড়ান্ত সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। এরকম হলে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা থেকে সাধারন মানুষ অফিস, স্কুল বৃষ্টি জলে স্নান করে কর্মযজ্ঞের যেতে হবে।
এদিকে এ বিষয়ে নিয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান ভূষণ সিং জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, রাস্তা সংস্কারের হয়েছে, তাতে রাস্তার পাশের জল নিকাশি নালা গুলোতে সবে কাজ শুরু করা হল। তাতে জল নিকাশি গুলি ও তোর্ষা নদীর জল সমান হয়ে গেছে। শহরের জল পাস হতে পারচ্ছেনা। শহরে ভারী বৃষ্টি হলে যেমন জল জমে তেমনি নদীর জল ও শহরের ভেতরে প্রবেশ করে। শনিবার রাতে দফায় দফায় বৃষ্টির ফলে শহরের বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তা সুনীতি রোড সহ বিভিন্ন এলাকায় জল জমে গিয়েছে। আমরা ছুটির দিনেও সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে মানুষের বিপদের কথা শুনে পৌরসভার চেয়ারম্যান বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেরিয়ে যায়। তারপরে পৌরসভার কর্মীদের ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় কাজে লাগানো হয়েছে। এটা প্রাকৃতিক বিপর্যয় এটা সাধারন মানুষকে মেনে নিতে হবে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584