বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে বৈঠকে ব্যর্থ, আচার্য উপাচার্যদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের

0
98

শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ

রাজ্যের ১১ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও উপাচার্যদের নিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সাথে আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু বৈঠক শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান তারা বৈঠকে উপস্থিত হতে পারবেন না। এই ঘটনায় বেজায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। এরপর তিনি সবাইকে গতকাল ২৩ ডিসেম্বর আসার জন্যে নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক গতকাল বৃহস্পতিবার রাজভবনে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রেখেছিলেন তিনি। নির্ধারিত সময়ে বৈঠক শুরু করার জন্য রাজ্যপাল ও তাঁর সচিব চেয়ারে বসে অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি কলেজের কোন আচার্য ও উপাচার্যদের দেখা মেলেনি। শেষ পর্যন্ত রাজ্যপাল ভবন থেকে একটি ভিডিও করে আপলোড করা হয়, সেখানে দেখা যায় রাজ্যপাল ও সচিব বসে অপেক্ষা করছে, অন্যদিকে বাকি চেয়ার গুলি ফাঁকা পড়ে আছে।

Jagdeep Dhankhar
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়

পরপর দুইবার ব্যর্থ হওয়ায় বেজায় চটেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি টুইটে কড়া ভাষায় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে বিঁধেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুর কমিশন(UGC) কে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় গুলির ব্যাপারে তদন্তের আভাস দিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

 

বিশেষভাবে উল্লেখ্য, ১০ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যগণের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ২০ ডিসেম্বর রাজ্যপালের কাছে পৌঁছায় এবং চিঠিতে জানানো হয় এমন করোনা আবহের মাঝে তারা বৈঠকে উপস্থিত হতে পারবে না। এই চিঠির পাল্টা হিসেবে রাজ্যপাল টুইটারে চিঠি সহ একটি টুইট করে। টুইটে তিনি বলেন, “রাজভবনে প্রতিটি বৈঠক কোভিড প্রোটোকল মেনে হয় এবং আপনাদের অজুহাত ঠিক নয়। সম্ভবত আপনারা সরকারের ভয়ে আসছেন না। আগামী ২৩ ডিসেম্বর বৈঠকের নতুন নির্ঘন্ট ঘোষণা করা হল। আশা করি আপনারা আসবেন।” কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিয়ে গতকাল ২৩ ডিসেম্বর বৈঠকে কেউ উপস্থিত হননি। তবে আগামী ৮ ই ডিসেম্বর বৈঠকে বসার জন্যে প্রথম টুইট করেছিলেন তিনি। এর আগেও ২০২০ সালে ডিসেম্বর মাসে এমন বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিলেন, সেবারও তিনি ব্যর্থ হন পুরোপুরি ভাবে।

আরও পড়ুনঃ এ বছরও শান্তিনিকেতনে হবে না পৌষমেলা! কারণ হিসেবে রাজ্য সরকারকে দায়ী করলেন উপাচার্য

এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কয়েকজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যগণ জানিয়েছেন, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন উপাচার্যের যথেষ্ট বয়স হয়ে গেছে। তাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে। করোনার নতুন সিনড্রোম ওমিক্রন আবারও প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে। সেই কথা মাথায় রেখে তারা মুখোমুখি বৈঠক এড়াতে চাইছেন।

আরও পড়ুনঃ আগামী বছর ১০ দিন আগে শুরু হবে কলকাতার দূর্গাপুজো, ঘোষণা করলেন মূখ্যমন্ত্রী

অন্যদিকে পদাধিকার বলে রাজ্যপাল রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য এবং বেসরকারিগুলির ভিজিটর। সেই মোতাবেক তাঁর আলোচনায় ডাকার রাইট আছে। কিন্তু বৈঠক ডাকার পর কেউ উপস্থিত হননি। এই ঘটনায় বেজায় ক্রুদ্ধ হয়েছেন এবং ক্ষোভে ফেটে পড়ে টুইটারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে পোস্ট করেন। প্রসঙ্গত, নবান্নের সাথে রাজ্যপালের সম্পর্ক বরাবরই খারাপ। যেকোনো ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছেন বরাবর।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here