নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্ক :
করোনা আবহে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬৩ জন বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সোমবার রাজ্যের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়, তাতে বলা হয়েছে করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে সংশোধনাগারগুলি ফাঁকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
কারা দফতরের এক আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের মোট ৬০ টি সংশোধনাগারে ২১,৫০০ জনের মতো বন্দী থাকতে পারেন। আপাতত সেখানে ২৩,০০০-র বেশি বন্দী রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬৩ জন বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুনঃ লাগাতার বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়, উদ্ধারকাজে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার
গত বছর করোনা ভাইরাসের জেরে অতিমারী ছড়িয়ে পড়ার পরে সংক্রমনে রাশ টানতে দেশের বিভিন্ন সংশোধনাগারগুলি থেকে বেশ কিছু বন্দীকে প্যারোলে ছাড়া হয়, তখন একই ব্যবস্থা নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। এবার বয়সজনিত কারণ, জেলে ভালো ব্যবহার-সহ অন্যান্য বিষযগুলি বিবেচনা করে ওই ৬৩ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে, যাদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গোপনীয়তা রক্ষার শর্তে এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন ৬১ জন ষাটোর্ধ্ব পুরুষ বন্দী ও ২ জন মহিলা বন্দীকে বেছে নেওয়া হয়েছে যাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে। এই দুজনেরই বয়স ৫৫-র ঊর্ধ্বে।
আরও পড়ুনঃ প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ১৬১ তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে
আপাতত প্রয়োজনীয় নিয়মকানুন পূরণ করার প্রক্রিয়া চলছে,তা শেষ হলে ওই ৬৩ জনকে সংশোধনাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। সরকারি ওই আধিকারিক জানান, ‘বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে সংশোধনাগারগুলিতে বন্দীর সংখ্যা কমানো প্রয়োজন। কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর ১৯৭৩-এর ৪৩২ ধারা অনুযায়ী ১৪ বছর সাজার মেয়াদ পার করা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিতদের আগে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার ক্ষমতা রাজ্য সরকারের রয়েছে।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584