কোভিড পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য স্কচ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের

0
68

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

সারা বিশ্বের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গও চলতি বছরে করোনা অতিমারির শিকার হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করেছে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর তৈরি করে শেষ পর্যন্ত এই অতিমারী আতঙ্ককে নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে।

Health Department | newsfront.co
ফাইল চিত্র

আর কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় অসামান্য ভূমিকা পালনে স্কচ অ্যাওয়ার্ড গোল্ডে ভূষিত হল রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর। প্রসঙ্গত, এর আগে এই পুরস্কার পেয়েছিল নবান্নের গ্রিভান্স রিড্রেসাল সেল।

চলতি বছরের মার্চ থেকে গোটা বিশ্বকে প্রায় থমকে দিয়েছে করোনা ভাইরাস। আর সেই কারণে সারা বিশ্বের মতেই পুলিশ প্রশাসনের ওপর জোর কমিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নামতে হয়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে।

প্রতিদিন প্রতিনিয়ত পরিস্থিতি অনুযায়ী চিন্তাভাবনা এবং নতুন নীতি প্রয়োগ, একইসঙ্গে করোনা প্রতিমার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য সরঞ্জাম ব্যবস্থাপনা করা রীতিমতো রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল প্রশাসনের। এই অতিমারিতে একদিকে যেমন মারা গেছেন বহু মানুষ, ঠিক তেমনই শহীদ হয়েছেন বহু চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী।

আরও পড়ুনঃ দুঃস্থ যুবকের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন সাংসদ মিমি

একদিকে যেমন অজানা এই ভাইরাসকে রোখা অন্যতম কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের, ঠিক তেমনই কোন কোন সূত্র থেকে এই ভাইরাসের আগমন ঘটছে, শুরু হয় সেই কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের কাজ। কারা কারা ভিনরাজ্য কিংবা ভিনদেশ থেকে এ রাজ্যে ফিরেছেন তা খতিয়ে দেখা শুরু হয়।

এর ফলে বহুদিন গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হয় এবং সাধারণ মানুষের মধ্যেও রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা বেশ কিছুটা বেড়ে যায়। এর মধ্যে সাধারণ মানুষ এই রোগের সম্বন্ধে বেশকিছু সচেতন হন এবং সামান্য উপসর্গ দেখা গেলেই চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হন। এর ফলেও করোনা সংক্রমণকে কখনও অনিয়ন্ত্রিত হারে বাড়তে দেখা যায়নি।

আরও পড়ুনঃ ইংল্যান্ড ফেরত কলকাতার দুই যাত্রীর শরীরে করোনা, বাড়ছে উদ্বেগ

অনেকেই করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার’ করছিলেন, সেই অভিযোগও সামনে এসেছে। সে সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে বোঝাতেও তৎপর ভূমিকা নেয় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। এমনকী সকলে মাস্ক পরছেন কিনা এবং কোভিডবিধি মানছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখার দায়িত্ব যৌথভাবে নেয় স্বাস্থ্য দপ্তর এবং রাজ্য পুলিশ। ধীরে ধীরে এই অতি মারিস থেকে মানুষের ভয় কেটে যায় এবং সংক্রমণের হার এবং মৃত্যু দুটোই কমে আসে।

আর সুস্থতার হার বাড়তে বাড়তে প্রায় একশো শতাংশের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। ভরতি করোনা রোগীদেরও শারীরিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত খোঁজখবরও সংস্পর্শ এড়িয়ে খুব সহজেই পাচ্ছেন পরিজনেরা। আর একসঙ্গে এতগুলি দায়িত্ব খুব নিখুঁত ভাবে পালন করে স্কচ অ্যাওয়ার্ড গোল্ডে ভূষিত হল রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর। পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষেত্রে যে রাজ্য প্রশাসনের মনোবল বাড়িয়ে দিল অনেকটাই।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here