নিজস্ব সংবাদদাতা,আলিপুরদুয়ারঃ
আধুনিকতার সাথে তাল মেলাতে না পেরে এমনিতেই ধুঁকছিল তাঁতশিল্প। তার মাঝেই থাবা বসাল করোনা ভাইরাস। ফলে তাঁত শিল্পীদের মধ্যে চলছে আশ্চর্য রকমের নীরবতা। মুখ থুবড়ে পড়েছে তাঁতশিল্প।
আর রুজি-রুটি হারিয়ে এখন অর্ধাহারে অনাহারের মধ্যে দিয়ে এক প্রকার জীবন যাপন করছেন কর্মহীন তাঁতি পরিবারগুলো। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি ভাবে আর্থিক সহযোগীতা না পেলে ধ্বংসের মুখে পড়বে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ডালিমপুরের তাঁতশিল্প এবং বেকার হবে এ শিল্পের কারিগররাও।
জানা গিয়েছে, করোনা মহামারির ফলে আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন তাঁতি পরিবারগুলো। একসময় সকাল থেকে ওই এলাকা তাঁত বোনার খটখট শব্দে মুখরিত ছিল। কিন্তু করোনার প্রভাবে সেই তাঁতিপাড়া এখন নিস্তব্ধ। করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তাঁতিরা।
দক্ষিণ ডালিমপুর গ্রামের তাঁত শিল্পী তারেশ বর্মন জানান, “করোনার কারণে লকডাউনের জেরে মার্কেট বন্ধ ছিল। বর্তমানে কখনো মানুষের বাড়িতে কাজ করে কিংবা কৃষি কাজ করে সংসার চালাচ্ছি। সরকার সহযোগিতা না করলে তাঁত শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে ৷ ”
আরও পড়ুনঃ বামফ্রন্টের ব্রিগেড সমাবেশের সমর্থনে ডেবরায় সভা সুজনের
এই বিষয়ে জটেশ্বর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সমরেশ পাল বলেন,”বিষয়টি আমার জানা নেই, এখন জানলাম ভালো হল। কোনো সরকারি সুযোগ থেকে উনি যাতে বঞ্চিত না হয় সেই বিষয়টি আমি দেখবো।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584