নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ
ফালাকাটা বিধানসভার উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে জোরদার রাজনৈতিক কর্মসুচি শুরু করে দিল বিজেপি। শুক্রবার ফালাকাটার জটেশ্বরে দলীয় রূপরেখা ঠিক করতে বিজেপি কর্মীদের নিয়ে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা-সহ জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
ওই বৈঠকে তিনি দলের কর্মীদের ভোটের ময়দানে নামার জন্য বেশ কিছু জরুরি নির্দেশ দেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ জানান, “রাজ্যে এনআরসি হবে না”– মুকুল রায়ের ওই বক্তব্যের কোনও দায়িত্ব নেবেন না দিলীপ ঘোষ। তাঁর পাল্টা যুক্তি “এনআরসি তো সুপ্রিম কোর্ট চেয়েছে। আমি বলার কে?”
আরও পড়ুনঃ কাঞ্চনপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাক-প্রসূতি বিভাগ উদ্বোধন
সবকিছু অগ্রাহ্য করে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, “দেশের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আদালতের ওই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে আমি বাধ্য। আমিও আদালতের রায়কে সম্মান জানিয়ে এনআরসি-র স্বপক্ষে পথে নেমেছি। মুকুল বাবু কিসের পরিপ্রেক্ষিতে ওই মন্তব্য করেছেন তার দায় আমার ও দলের নয়। আমাদের কাছে দলীয় নির্দেশ প্রাধান্য পায়।”
বরাবরের মতোই চাঁচাছোলা কথায় দিলীপ এ দিন বলেন, “রাজ্য সরকার ইভিএম অথবা ব্যালট যাতেই ভোট করুন না কেন, আমাদের তাতে কিছুই এসে যায় না।
যখন দিদিমনি ২০১১ সালে ইভিএমএ জিতে ছিলেন তখন এই প্রশ্ন ওঠেনি। যখনই তিনি হারতে শুরু করলেন তখনই ইভিএমে কারচুপি শুরু হয়ে গেল। বাহানা ছেড়ে উনি ভোটের ময়দানে তো আসুন। তারপর দেখছি। ভয় পেয়ে রাজ্যের পুরসভা ভোটগুলি আটকে রেখে বসে আছেন। নির্বাচনে তো ওনাকে আসতেই হবে। তখন বোঝা যাবে কার কত দম।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584