মীর রাকেশ রৌশান,৩০শে জুলাই,বহরমপুরঃ
দেশজুড়ে বাড়ছে বেকারি-দারিদ্র্য। বাড়ছে আয় বৈষম্য। তারই পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশুশ্রম। গ্রাম শহরের সীমানা বিস্তার করে আয়বৈষম্য এখন গোটা উন্নয়নশীল দেশজুড়েই। ভারতের এক বিরাট অংশের শিশুশ্রমিকেরই বয়স ৮-১৩ এর মধ্যে। রাইট টু এডুকেশন অ্যাক্টও বাঁধ সাধতে পারেনি তাদের শ্রম বিক্রির ক্ষেত্রে। এই সমস্যা নিরসনের উদ্দেশ্যে আজ মুর্শিদাবাদ প্রশাসনিক ভবনের নয়া হলে শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের উদ্যোগে শিশু শ্রম, শিশু ভিক্ষা,চাইল্ড ট্রাফেকিং সহ নানান শিশু বিরোধী অপরাধ বন্ধের উদ্দেশ্যে জেলা ব্যাপী কার্যক্রম গঠনে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয় জেলা প্রশাসনিক ভবনে।
সরকারি তরফের এই উদ্যোগে আহ্বান জানানো হয়েছিল নানা প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি,এনজিও,শিক্ষকমহলকেও। তারা বাড়িয়েছেন তাদের সাহায্যের হাত। সহকারী ভূমিকা পালনের অঙ্গীকার তাদের। পাশাপাশি শিশুশ্রম বন্ধে আগেই গৃহিত হয়েছিল একগুচ্ছ প্রস্তাব। আগের প্রস্তাব মেনে গৃহিত কার্যক্রম রুপায়নে আজ গঠিত হয় টাস্কফোর্স।
টাস্কফোর্স এর কার্যক্রমের সুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণে দায়ীত্ব বন্টন হয়েছে প্রশাসনিক তরফেও। একদা সমৃদ্ধশালী অধুনা পিছিয়ে পড়া জেলা মুর্শিদাবাদকে মডিউল হিসেবে রাজ্যের কাছে উপস্থাপনের আশা নিয়ে এগোচ্ছেন কর্মকর্তারা। শিশুশ্রমের বন্ধে এবং তার যথার্থ রুপায়নে জেলাকে রাজ্যে দৃষ্টান্তস্বরুপ গড়ে তুলতে চান তারা।
শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের অন্যতম সদস্য প্রসূন ভৌমিক বলেন,শিশুর অধিকার সুরক্ষা করার প্রধান বাঁধা দারিদ্র। দারিদ্র নিরসনের মধ্যে দিয়েই উচ্ছেদ হতে পারে শিশুশ্রম। এর জন্য প্রয়োজন সচেতনতার। পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারী নানা স্কিমের আওতায় এনে সুবিধাধানের মধ্যে দিয়ে সমস্যা নিরসনে পথ বাতলেছেন প্রসূন বাবু। পাশাপাশি আর্থিক ও মানসিক ভাবে স্বাবলম্বী গড়ে তোলার কথাও বলেছেন তিনি। এর মধ্য দিয়েই শিশুদের শিক্ষাদান ও একই সঙ্গে বৃত্তিমূলক শিক্ষার পাঠ দিয়ে স্বনির্ভর গড়ে তোলবার দিক নির্দেশনা দেন প্রসূন ভৌমিক।
আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া জেলা। শিক্ষাগত ভাবেও পিছিয়ে অনেকটাই। কিন্তু এগোনোর পথেও বাঁধা বিস্তর। পাহাড়প্রমান বাঁধা শিশুশ্রমের। দারিদ্রের নিরসনে, বাবা মা বাধ্য হন শিশুকে শ্রমিক করে তুলতে। শিশুশ্রমিক বাধ্য হয় স্কুলের বেঞ্চে পেনসিল খাতার বদলে হাতে তুলে নিতে পারিবারিক বোঝা। এই সমস্যা নিরসনে শিশুশ্রমের প্রকৃত কারণ নিরসন ও তার সমাধানে প্রশাসনের এই মিটিংয়ের তাৎপর্য্য শিশু শ্রমিক হ্রাসে, শিক্ষার্থী বৃদ্ধিতে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584