সমস্যা যখন শিয়রে,উপেক্ষা তখন অপরাধ।এই সহজ আপ্ত বাক্যটিকে পাশ কাটিয়ে সমস্যাকে দিন দিন জটিল করে তুলছে এ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গুতে মৃত এবং আক্রান্তের সংখ্যা কত তার কোন তথ্য চূড়ান্ত করতে পারেনি তারা।জীবন মরনের প্রশ্ন যেখানে যুক্ত,সেখানে কেন তথ্য নেই তার কোন যুক্তিগ্রাহ্য অভিমতও নেই।শুধু স্বাস্থ্য দফতর নয়,ডেঙ্গু নিয়ে কোন পরিসংখ্যান নেই কলকাতা পৌরসভার কাছেও।
সমস্যার সমাধান করতে হলে সমস্যার চরিত্র বোঝা জরুরি।আর চরিত্র বুঝতে প্রয়োজন সঠিক পরিসংখ্যান।কিন্তু সেই পরিসংখ্যান নিয়েই ধোঁয়াশা।বেসরকারি মতে এ রাজ্যে বর্তমান বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা চল্লিশ থেকে পঁয়তাল্লিশ জন, আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাত হাজার।জীবনঘাতী মশাবাহিত রোগ যা শুধু মাত্র সচেতন প্রয়াসেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে এমন লুকাছাপা করার কি খুব প্রয়োজন? নাকি সুপার স্পেশালিটি হেন তেন নাম দিয়ে নীল সাদা সরকারি ঝাঁ চকচকে হাসপাতালের অন্দরের আসল কঙ্কাল বেরিয়ে পড়ার ভয়ে রাজনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করছে স্বাস্থ্য দফতর।সমস্যা সমাধানের আন্তরিকতার অভাব নিয়েও স্বাভাবিক ভাবেই উঠবে প্রশ্ন।আসলে ব্যালট বাক্সের পরিসংখ্যানের টানা পোড়েনের ভয়ে মানুষের জীবন মরনের সাথে সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান পরাস্ত হচ্ছে।
উদ্যত লাঠি আর রক্ত চক্ষুর সামনে দাঁড়িয়ে যে চিকিৎসকরা প্রতিদিন পেশাগত দায়বদ্ধতায় চিকিৎসা করে চলেছেন তারও নিজের দফতরের এই গদাইলস্করি চালে চিন্তিত,কারন তাঁরাও উপলব্ধি করছেন এ যে আগুন নিয়ে খেলার মত হয়ে যাচ্ছে।পূর্বে কুষ্ঠ নিয়ে লুকোচুরির ফলে তা মহামারির আকার নেয়,অকালে ঝরে যায় বহু প্রাণ।সাম্প্রতিক কালে যাদবপুর এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা উর্দ্ধমুখী। এমতাবস্থায় সরকারি নিয়ম অনুসারে চলছে ‘অজানা রোগের’ চিকিৎসা।ক্ষমতার দম্ভে সাজানো মঞ্চে উন্নয়নের বানীতে হাত তালি জুটতে পারে তাতে মন উৎফুল্লও হতে পারে কিন্তু রোগের সাথে লড়াইয়ে রোগ চিহ্নিত না হলে মৃত্যু অবধারিত।অজানা জ্বর আখ্যায়িত করাও যে একধরনের অক্ষমতা সেটি বোঝার মতো গভীরতাও কি শাসনের অলিন্দে ঘুরতে ঘুরতে হারিয়ে ফেলছেন হর্তাকর্তারা?
ভোট আসবে ভোট যাবে কিন্তু সামান্য সৎ প্রচেষ্টার অভাবে যে সন্তান পিতাকে হারাবে, যে মা সন্তান হারাবে তার দায় কে নেবে?
©Newsfront
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584