সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ
করোনা প্রতিহত করতে ঘরবন্দী সবাই। তখন ঠিক অন্যচিত্র সুন্দরবনে। শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্ণায় বসলেন এক মহিলা। চারদিন ধরে নির্জলা উপবাস করে শ্বশুর বাড়ির সামনে বসে রয়েছেন সাতাশ বছরের মনিকা রায় পরুয়া। আট মাসের অন্তর্বত্নী মহিলার এমন কীর্তিতে হতবম্ব প্রতিবেশিরাও। অভিযোগের তীর স্বামী সুরজিৎ পরুয়ার দিকে।
তবে এমতাবস্থায় এগিয়ে আসেনি স্থানীয় ফ্রেজারগঞ্জ থানার পুলিশ – প্রশাসন বলে দাবি ওই মহিলার। মহিলার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ নেয় পুলিশ। মূল অভিযুক্ত ঘটনার পর পলাতক। জানাযায়, বছর দুয়েক আগে ক্যানিং এলাকায় বাপের বাড়ি মনিকা রায় পরুয়া মাছের কারবার করতে ফ্রেজারগঞ্জে আসেন স্বামীর সাথে। ফ্রেজারগঞ্জে ভারায় থাকতো মনিকা।
যে বাড়িতে ভাড়া থাকতো সেই বাড়িওয়ালার ছেলে সুরজিৎ পারুয়ের সঙ্গে অবৈধ্য সম্পর্ক হয় তার। সুরজিৎ বিবাহিত, তিন সন্তানের বাবা। সুরজিৎ বিবাহিত জেনে আবারো বিয়ে করে মনিকা। দুই পরিবারের জানাজানি হতে কাকদ্বীপে ভাড়া বাড়িতে থাকতো দুজনেই।
আরও পড়ুনঃ পশ্চিম মেদিনীপুরে অসহায় মানুষের পাশে ভূমি রাজস্ব আধিকারিকরা
গত একসপ্তাহ আগে মনিকাকে না বলে চলে আসে সুরজিৎ। এর পর খোঁজ শুরু হয়। অবশেষে ফ্রেজারগঞ্জ শ্বশুর বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসেন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। অভুক্ত অবস্থায় দিন যাপন করছে সে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, অবশেষে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ছেড়ে পালানোয় রীতি মতোন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসি।
তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও মনিকাকে বৌমা বলে মানছেনা শ্বশুড় বাড়ির লোকজন। ঘটনার পর স্তম্ভিত স্থানীয় বাসিন্দারাও। স্বামীকে ঘরে ফিরে পেতে তাই ধর্ণাতে মনিকা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584