শিবশঙ্কর চ্যাটার্জ্জী,দক্ষিন দিনাজপুরঃ
বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীকে ম্যাংগো শেকের মধ্যে অধিক পরিমাণ ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে হত্যার চেষ্টা করলেন গৃহবধূ।
স্বামী সুস্থ হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হতেই,গহনা ও টাকা নিয়ে চম্পট দিলেন ওই গৃহবধূ। প্রেমিকের সঙ্গেই পালিয়েছেন ওই গৃহবধূ বলে অনুমান প্রতিবেশীদের।
এই ঘটনার পর থেকে বালুরঘাট হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন স্বামী আশীষ চক্রবর্তী।পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক আশীষবাবু এদিন হাসপাতালের বেডে শুয়েই তিনি বালুরঘাট থানায় প্রথমে ফোনে ও পরে তদন্তকারী অফিসারের সামনে লিখিতভাবে স্ত্রী বাসন্তী চক্রবর্তীর নামে অভিযোগ জানান।এদিন দুপুরে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় বালুরঘাট শহরের মিলন সংঘ পাড়া এলাকায়।
জানা গেছে,১৩ বছর আগে বালুরঘাটের আশীষ চক্রবর্তীর সঙ্গে হিলির মাতাস এলাকার বাসন্তী গোস্বামীর বিয়ে হয়েছিল।তাদের বর্তমানে একটি বারো বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।আশীষ বাবু প্রাক্তন সেনাকর্মী।তিনি ২০০৯ সালে সেনা থেকে অবসর নেওয়ার পরে, বালুরঘাটে ফিরে তিনি প্রাথমিক শিক্ষকতা করছেন। বর্তমানে তিনি কুশমন্ডির একটি স্কুলে চাকরিরত।
আশিষ বাবু জানান যে,বছর কয়েক ধরেই তার স্ত্রী বাসন্তীর মোবাইলে ব্যাপক আকর্ষণ তৈরি হয়।সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তিনি প্রচুর ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন।বেশ কিছু ঘটনাতে সেই ছেলেদের কাছে তিনি হুমকি বা বিভিন্ন রকম ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন। তবে সংসার করার প্রবল ইচ্ছা থেকেই তিনি স্ত্রীকে বুঝিয়ে সংসার করছিলেন।কিন্তু স্ত্রী কিছুতেই শোধরাননি।বার কয়েক পারিবারিকভাবে সালিশি সভার মধ্য দিয়ে স্ত্রীকে বোঝানো হয়েছিল। তার পরেও সমস্যা মেটেনি।
আরও পড়ুনঃ মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে বিপন্ন বাগদাবড়া ফরেস্ট
আশীষ বাবুর অভিযোগ, গতকাল রাতে তিনি যখন বাড়ি ফেরেন,তখন তার স্ত্রী তাকে ম্যাংগো শেক খেতে দেন।গ্লাস ভর্তি এত পরিমাণে ওই লিকুইড খেতে অস্বীকার করলে, স্ত্রী প্রায় জোর করেই তাকে খাওয়ায়।খাওয়ার শেষের দিকে আশীষবাবু বেশকিছু ট্যাবলেটের গুড়ো নজর করেন।তা নিয়ে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেও কোনো উত্তর মেলেনি।এর খানিকক্ষণ পরে তিনি প্রবল অস্বস্তিবোধ করতে থাকেন এবং শারীরিকভাবে দুর্বল হতে শুরু করেন।এই বিষয় নিয়ে তিনি তার স্ত্রীকে বললে, স্ত্রী কর্ণপাত করেননি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তার আত্নীয় ও প্রতিবেশীদের ফোন করে বিষয়টি জানান। সংগে সংগেই প্রতিবেশীরা এসে পৌঁছালে,তাকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া হয়।তার চিকিৎসা শুরু হয়।এদিন সকাল হতেই আশীষ বাবু বালুরঘাট থানায় ফোন করে তার অভিযোগ জানান এবং পুলিশ প্রথমে হাসপাতাল ও পরে তার বাড়িতে গিয়ে তদন্ত শুরু করে।
পুলিশি তদন্ত শুরু হতেই বাসন্তী দেবী ভয় পেয়ে এবং টাকা পয়সা নিয়ে বাড়ি থেকে চম্পট দেন বলে আশীষ বাবু জানান।বালুরঘাট থানার পুলিশ ঘটনা তদন্তে নেমেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584