নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
আচ্ছা, বেঁচে থাকা বলতে আপনি ঠিক কী বোঝেন? শুধুই খেয়ে, পড়ে বেঁচে থাকা? নাকি সুস্থভাবে খেয়ে, পড়ে বেঁচে থাকা? হয়ত দ্বিতীয়টাই বেছে নেবেন আপনি উত্তর হিসেবে। কিন্তু নামহীনভাবে বেঁচে থাকা যায়, এমনটা শুনেছেন কখনও। পরিবারের কেউ না কেউ তার নাম দিয়েছে এককালে তা একশভাগ নিশ্চিত৷
কিন্তু সেই মানুষটি যদি নিজের নাম বলতে অক্ষম হয়, তখন কী করার থাকে? সে না পারে শুনতে, না পারে বলতে, না পারে দেখতে, না পারে ঠিকমতো চলাফেরা করতে৷ পরিবারের সকলের কাছে সে বোঝা হয়ে আছে জন্ম থেকেই৷ নিজের বাড়িতে থাকতে গেলে চুড়ান্ত অক্ষমতা সত্তেও রোজগারটি করতে হবে তাকে। নাহলে জুটবে না দুমুঠো ভাত। এমনই শর্ত।
স্বজনদের কাছ থেকে ব্রাত্য হয়ে, স্বজন হারিয়ে আশ্রয় পায় একটি বাড়িতে। আশ্রয়ের বিনিময়ে শ্রম দেবে বলে জানায় সে।৮৫ বছরের এক অশীতিপর বৃদ্ধাকে দিয়ে কী কাজ করানো যায়, তা ভেবে পায় না আশ্রয়দানকারী পরিবার। তাই ছাদ থেকে শুকনো জামাকাপড় তুলে এনে তা বৃদ্ধাকে ভাঁজ করতে দেওয়া হয়।
বৃদ্ধা সারাদিন বসে সেই জামাকাপড় ভাঁজ করে চলে। এভাবেই কাটে সেই বৃদ্ধার দিন।এহেন এক সত্য ঘটনাকে সম্বল করে সেই বৃদ্ধাকে নিজ চরিত্রাভিনয়ে রেখেই বেশ অনেকদিন আগে একটি ছবি বানান পরিচালক সৌম্যদীপ ঘোষ চৌধুরী। ছবির নাম ‘ওয়ার্ক ইন প্রগ্রেস’ (work in progress)।
ছবিটির ক্যামেরা করেছেন শুভদীপ দে। এডিট করেন অনির্বাণ মাইতি। অর্থনৈতিক কারণে ছবিটির ফাইনাল টাচ আপ করা সম্ভব হয়নি৷ তবে, সৌম্যদীপও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। শুধুমাত্র কনটেন্টের বলে বলীয়ান হয়ে পরিচালক সৌম্যদীপ ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরের ‘গারোয়া অ্যাওয়ার্ডস ফেস্টিভ্যাল’ এ পাঠান ছবিটি। এই ফেস্টিভ্যাল মূলত নতুন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম এবং ডকুমেন্টারিকে প্রোমোট করে।
আরও পড়ুনঃ সংকটের দিনে রক্তদান করলেন টেলি অভিনেত্রী অনিন্দিতা রায়চৌধুরী
সেখানে সৌম্যদীপের এই ছবিটি বেস্ট ডকুমেন্টারি, বেস্ট ডিরেক্টর, বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফি এবং বেস্ট এডিটিং অ্যাওয়ার্ড জিতেছে বলে জানিয়েছেন সৌম্যদীপ স্বয়ং।সৌম্যদীপ নিউজ ফ্রন্টকে জানান- “৮৫ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধা কিছুদিন হল মারা গিয়েছেন।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584