মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
দীর্ঘ ৩০ দিন ধরে অনশন করার পর কোনরকম সমাধান না হওয়ায় এবার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের ঘরের সামনে ধরনায় বসে পড়লেন জেলার বহুমুখী পুরুষ স্বাস্থ্যকর্মীরা।

জানা গেছে, বহুমুখী পুরুষ স্বাস্থ্য কর্মীদের বেতনবৃদ্ধি, স্থায়ীকরণ, সমকাজে সমবেতন দেওয়া সহ দীর্ঘদিন থেকেই তারা বেশকিছু দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। বর্তমানে করোনা মোকাবিলাতে তারা সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে কাজ করলেও তাদের দাবিদাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের উদাসীনতার অভিযোগ তুলে অনশনে বসেন তারা।

কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের ভিতরেই সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের ঘরের সামনে ধরনায় বসে পড়েন তারা।
অনশনকারীদের মধ্যে এক জন বলেন, গত ৯ বছর ধরে মাল্টি পার্পাস হেলথ ওয়ার্কারদের বৃদ্ধি হয় নি মাসিক ভাতা। করা হয়নি বহুমুখী পুরুষ স্বাস্থ্যকর্মীদের চাকরির স্থায়ীকরণ। তাদের দাবি, অবিলম্বে মাসিক ভাতা বৃদ্ধি, বিগত ৯ বছরের এরিয়ার প্রদান ও চাকরির স্থায়ী করণ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ‘হয় ভাতা নয় জরিমানা’ আবগারি দফতরের ঘোষণার প্রতিবাদে তমলুকে বিক্ষোভ
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আমরণ অনশন চলবে। ৩০ দিন থেকে তারা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে অনশন করছেন, কিন্তু সরকারিভাবে তাদের দাবি মেটানোর জন্য কিছুই করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। সেই কারণে আজ তারা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের ঘরের সামনে ধরনায় বসে।
আরও পড়ুনঃ রেলে কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে তমলুকে বিক্ষোভ ডেপুটেশন
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২৯ দিনের মাথায় বুধবার অনশনকারীদের সাথে দেখা করতে অনশন মঞ্চে যান আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা। তিনি এসে অনশনকারীদের সাথে কথাবার্তা বলেন,তাদের সমস্যার কথা শোনেন এবং আশ্বাস দেন তিনি দিল্লিতে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সাথে কথা বলবেন।
কিন্তু তিনি ফিরে যাওয়ার পরেই জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের ঘরের সামনে ধরনায় বসেছেন বহুমুখী পুরুষ স্বাস্থ্যকর্মীরা। কেন তারা এতদিন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের ঘরের সামনে ধরনায় বসলেন না! আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা ধরনা মঞ্চে আসার পরেই বা কেন তারা ধরনায় বসলেন তা নিয়ে কিন্তু শুরু হয়েছে বিস্তর জল্পনা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584