নবনীতা দত্তগুপ্ত , বিনোদন ডেস্কঃ
দিনকয়েক আগে টেলিভিশনের পর্দায় মহালয়ার অনুষ্ঠান লুটে পুটে দেখেছে দর্শক। নিজেদের ভাল লাগা, মন্দ লাগার কথাও শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই অধিকার তাদের আছে। আবার কারোকে ট্রোলিং করার অধিকারও আছে। সেটাও তো স্বাধীন মতপ্রকাশেরই এক নামান্তর।
আর সেই নামান্তরের কবলেই পড়েন চলতি বছর জি বাংলার মহালয়া অনুষ্ঠান ‘দুর্গা সপ্তশতী সম্ভবামী যুগে যুগে’র অসুররাজ মহিষাসুর। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনন্দন সরকার। তাঁর সাজগোজ পছন্দ হয়নি দর্শকের। সারা গায়ে, মুখে তাঁর রঙিলা কারুকাজ মনে ধরেনি দর্শকের।
এ কথাও অস্বীকার করার উপায় নেই দর্শকই সেরা বিচারক। তার চোখই সেরা বিচার করে। তবে হ্যাঁ, এক একজনের পছন্দ এক এক রকমের। কিন্তু রঙিন মুখের অসুরকে মনে ধরেনি অধিকাংশের। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ট্রোলড হয়েছেন অভিনন্দন। তাঁকে নিয়ে বানানো হয়েছে ‘মিম’।
তাঁকে ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারোর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তাতে খুশি অভিনন্দন।
চ্যানেলকে ট্রোলিং-এর কথা জানানোর পর চ্যানেল নাকি জানায়- “এখানেই আমাদের সাফল্য।”- নিউজ ফ্রন্ট-কে জানান অভিনন্দন।
এ কথাও ঠিক, সমালোচনা যত হয় তত সেই কাজ বেশি মানুষের নজরে পড়ে। আর সেখানেই থাকে
কাজটির সঙ্গে জড়িত সকলের লাভের গুড়!
এহেন অভিনন্দনকে এবার থেকে দেখা যাবে ‘রানী রাসমণি’ ধারাবাহিকে শিবের চরিত্রে। আসন্ন একটি ছবিতেও নাকি শিবের চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। সেটির শুটিং শুরু ১ অক্টোবর থেকে।
অভিনন্দন জানান- “ছোটবেলা থেকেই নাচ করতাম। এই নিয়েও অনেকে অনেক কথা বলত। আমি গ্রাম থেকে বিলং করি। সেখানে নানা জনের নানা কথা চলতেই থাকে অন্যকে নিয়ে। আমার ক্ষেত্রেও হয়েছে সেটা। আমি ছেলে হয়ে কেন নাচ করব ইত্যাদি। আমি ডান্স ড্রামাও করেছি। লায়লা মজনু, যুগান্ত তার মধ্যে অন্যতম দুটি।
অ্যাব্রডে গিয়েও শো করেছি আমি। ‘মিস্টার ইন্ডিয়া ২০২০’-র কনটেসট্যান্ট ছিলাম আমি। ‘ডান্স বাংলা ডান্স’, ‘ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স’-এ আমি পারফর্ম করি। অলকানন্দা রায়, বসুন্ধরা গুপ্ত, অর্ণব ব্যানার্জির মতো মানুষদের অধীনে ডান্স ড্রামা প্রোডাকশনে আমি হিরো হয়েছি। আমি থিয়েটার ব্যাকগ্রাউন্ডের।
টেলিভিশনে ফিকশন বলতে গেলে অসুর আমার প্রথম কাজ। সেখানে আমার ডায়লগ ছিল। অসুর একটা নেগেটিভ চরিত্র। আর টেলিদুনিয়ায় পা রাখার শুরুতেই আমি নেগেটিভ রোল করে ফেললাম। আবার ট্রোলিং-ও হলাম। থিয়েটারে, ডান্স ড্রামায় আমি সবসময়ই পজিটিভ রোল করে এসেছি।
আরও পড়ুনঃ ধর্ম পরিচয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং-এর শিকার মীর, কবিতায় জবাব শিল্পীর
টেলিভিশনে নেগেটিভ করে বেশ ভাল লাগল। আরও ভাল লাগল যখন ট্রোলড হলাম। আমি ‘সমালোচনা’ শব্দটিকে সঙ্গে নিয়েই বড় হয়েছি। সুতরাং ওটা আমার কাছে চ্যালেঞ্জের মতো। আমি ট্রোলিং-কে স্বাগত জানাই, অভিনন্দন জানাই।
অসুর চরিত্রটা আমায় প্রশংসা দিয়েছে। ট্রোলিং-এর শিকার হয়েছি কেবল মেক আপ নিয়েই। অনেকে আমায় জ্যাক স্প্যারোর সঙ্গে তুলনা করেছেন। আমি হ্যাপি। ওরকম একজনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে বলে আমি সত্যিই খুশি।
ক্রিটিসিজম নিয়েই বড় হয়েছি আমি, আগেই বললাম। আমার মনে হয়- সমালোচনা নিয়ে না চললে জীবনে এগোনো যায় না। অসুরের সাজগোজ ঘিরে সমালোচনাটাকে আমার লাইফের একটা ধাপ হিসেবে নিচ্ছি আমি। উৎসাহ পেলাম।”
অভিনন্দন আরেকটি সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করলেন নিউজ ফ্রন্টের সঙ্গে। তিনি জানান- “অনেকদিন পর মেট্রোতে উঠলাম। মাস্ক পরা ছিলাম। কিন্তু হঠাতই একজন আমায় জিজ্ঞেস করলেন, আপনি স্প্যারো অসুর না? এর থেকে বড় পাওয়া কী হতে পারে?
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584