হরষিত সিংহ,মালদাঃ
স্কুলের মধ্যে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রর বিরুদ্ধে।বিদ্যালয়ে টিফিনের সময় ওই ছাত্রীর অপর চলে অত্যাচার।নিজেকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টাই রক্ষা হয় ওই ছাত্রীর।তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়ে নাবালিকা ছাত্রীটি।ঘটনায় জোর চাঞ্চল্য মালদার মানিকচক থানার নূরপুর অঞ্চল জুড়ে।ঘটনায় ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তে নামে পুলিশ।
জানা গিয়েছে ওই ছাত্রী নূরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর পড়ুয়া।ঘটনায় বিদ্যালয়েরই অভিযুক্ত ছাত্রর নাম মোহাম্মদ শামিম(১৯)।নূরপুর পঞ্চায়েতের মন্ডল পাড়ার বাসিন্দা।ঘটনা প্রসঙ্গে নির্যাতিতা ছাত্রী জানান,”বৃস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের টিফিন চলছিলো।সেইসময় এক সহপাঠীর সঙ্গে টিফিন খেতে বিদ্যালয়ের দোতলায় যান।খাওয়ার পর তার সহপাঠী হাত ধুতে নীচে নামে।সেই সময় একা পেয়ে মোহাম্মদ শামিম নামের ছেলেটি মুখ চেপে ধরে।তারপর মেঝেতে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।কোনো ক্রমে ধাক্কা দিয়ে নীচে শ্রেণী কক্ষে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়”।পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নূরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ছুটে যায় পরিবারের লোকেরা।শনিবার গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের ছাত্রীর পরিবার। এদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শেখ হেলালউদ্দিন ঘটনার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামসুল হোদার বদলীর দাবি করেছেন।তিনি বলেন,”বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের পরিবেশকে নষ্ট করেছে।শিক্ষাঙ্গনে এমন ঘটনা লজ্জার।দোষীর শাস্তির সাথে প্রধান শিক্ষকের বদলিও আমরা চাই।এদিকে মানিকচক থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।তবে এখনো অধরা অভিযুক্ত ওই পড়ুয়া।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584