মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
কোচবিহার জেলায় গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে জেরবার তৃণমূল।আজ কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে প্রস্তুতি সভায় দলের জেলা নেতৃত্বকে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি ওই সভায় বলেন, “কেউ যদি দলের ভিতরে থেকে দলকে দুর্বল করার কথা ভাবে, তাহলে তাদের রেয়াত করা হবে না। গোষ্ঠীকোন্দল বরদাস্ত করা হবে না।দলে সবাইকে একসঙ্গে চলতে হবে।দল তার কাজ করবে পাশাপাশি দলের যুব সংগঠন তার কাজ করবে।যারা ভালো কর্মী তাদের জন্য দলের দরজা সবসময় খোলা,কিন্তু যারা টাকা কামানোর জন্য দলে ঢুকতে চায় তাদের জন্য সব রাস্তা বন্ধ।”
শুধু তাই নয়, এখনও দলে থেকে যারা গোষ্ঠী কোন্দল করে যাচ্ছে,তাঁদের উদ্দেশ্য করেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেউ যদি ভাবে আমি সিতাইয়ে এই করে পাড় পেয়ে যাবো, আমার নজর রয়েছে।কেউ যদি ভাবে আমি দিনহাটায় দলবাজি করে পাড় পেয়ে যাবো, আমার নজর রয়েছে।কেউ যদি ভাবে আমি কোচবিহার উত্তরে পাড় পেয়ে যাবো,আমার নজর রয়েছে।”
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে অন্যদল বা নির্দল থেকে আগতদের দলে নিয়ে আসার জন্য যেমন রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে দায়িত্ব দিয়ে যান।তেমনি এদিনের সভায় ব্যাপক জমায়ে হওয়ায় খুশিও হন যুবনেতা। তিনি রাসমেলা মাঠের এই সমাবেশকে মিনি ব্রিগেড বলে আখ্যায়িত করেন। এর জন্য দলের জেলার প্রত্যেক নেতাকে ধন্যবাদ জানান।আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে আবার তিনি কোচবিহারে সভা করবেন বলে জানান।
এদিন সভা থেকে বিজেপির সমালোচনা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, “কেন্দ্রে বিজেপি আসার পর থেকে তারা জনবিরোধী কাজ কর্ম করে চলেছে। ২০১৯ সালে মানুষ এর জবাব দেবে।”
প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকে শাসকদলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত কোচবিহার। তৃণমূল কংগ্রেস ও তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সংঘর্ষে জেলায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পুলিশকে।এছাড়া জেলা নেতৃত্বকেও সতর্ক করেছেন কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।আজ ফের বিষয়টি নিয়ে জেলায় দুই গোষ্ঠীর নেতাদের কড়া বার্তা দিলেন অভিষেক।
আরও পড়ুনঃ অভিষেকের সভার দিনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে সভাপতির গাড়ি ভাঙচুর
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584