নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
চোর ধরতে ডাক পড়ল গুণিনের।তবে গুণিনকে এদিন দেখা যায়নি।তার খোঁজ চালাচ্ছে বেলদা থানার পুলিশ।
বুধবার বেলদা থানার বড়মাৎকতপুর গ্রামের ঘটনায় হতবাক পুলিশ প্রশাসন।বুধবার গ্রামে মুকুল মাইতির বাড়িতে চলছিল গুণিন ডেকে পুজোর প্রস্তুতি।
স্থানীয় সূত্রে খবর মঙ্গলবারও পুজো হয়েছে।পুজো কীসের? খোঁজ নিয়ে জানা যায় চোর ধরার জন্য।পুলিশ প্রশাসনকে না জানিয়ে গুণিন ডেকে চোর ধরতে অনুমতি দেন গ্রামের দুই মোড়ল।আর সেই মতোই চলছিল প্রক্রিয়া।
মুকুল মাইতির স্ত্রীর সোনার গয়না চুরি যায় কয়েকদিন আগে।তবে চোরের খোঁজ পাচ্ছিলেন না তারা। সিদ্ধান্ত গুণিন ডেকে কাঠি চালার মধ্য দিয়েই চোর ধরা পড়বে।
একবিংশ শতাব্দীতে মধ্যযুগীয় কুসংস্কার ও বুজরুকিতে মেতে যায় গোটা গ্রাম। পুজো দেখতে মেলা মানুষের ভিড়। এদিন জানতে পেরে পুজো বন্ধ করে পুলিশ। গ্রামে করা হয় সচেতনতার কর্মসূচি।
বেলদা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুমনকান্তি ঘোষ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামের বড়মাৎকতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জুনিয়র হাইস্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে সচেতন করেন তিনি।তবে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ জল অপচয় বন্ধ ও বৃক্ষরোপন নিয়ে র্যালী স্কুল ছাত্রছাত্রীদের
বিজ্ঞান সংগঠনের নেতৃত্ব সৌমেন মণ্ডলের দাবি, শিক্ষিত হলেও মানুষ এখনও অশিক্ষিত। ফলে সেই কারণে এইধরনের ঘটনা ঘটছে। সরকারি পদক্ষেপ প্রয়োজন। নারায়ণগড় বিডিও বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন,সচেতন কর্মসূচি নেওয়া হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584