শ্যামল রায়,পূর্বস্থলীঃ
এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পারুলিয়া কে কে হাই স্কুলের ছাত্রী বিথী মজুমদার এলাকার মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৫।বাবা মানিক মজুমদার খই তৈরির কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।মা তুলসী দেবী গৃহবধূ অথচ মালার থলির কাজ করে সংসারের বাড়তি উপার্জনে নিজেকে সামিল করেছেন।বিথী মজুমদার কখনো কখনো তার মায়ের সাথে থলি তৈরিতে হাত লাগায় বলে জানা গিয়েছে।জপমন্ত্র বলতে ওই থলি ব্যবহার করে থাকেন সাধু-সন্তরা।
মঙ্গলবার বিথী মজুমদার সাক্ষাৎকারে জানালেন যে সে অভাব এর মধ্যে দিয়েই বড় হয়েছে এবং আগামী দিন অভাব কে জয় করে একজন সুদক্ষ অধ্যাপিকা হওয়ার তার ইচ্ছে রয়েছে।ভালো ছাত্র ছাত্রী তৈরিতে তার সর্বদা মনোনিবেশ থাকবে বলে এদিন জানিয়েছে সে।
আরও পড়ুনঃ সঙ্গীতে একশোতে একশো পেয়ে অষ্টম স্থানাধিকারী কালিয়াগঞ্জের মধুরিমা
বিথীর প্রাপ্ত বাংলায় ৯৩ নম্বর, ইংরাজি চতুর্থ বিষয় ৬৫ নম্বর, অর্থনীতিতে ৯৫, ভূগোলে ৯০,এডুকেশন ৯৬, দর্শন শাস্ত্রে ৯১ নম্বর পেয়েছে।বাবা-মায়ের একটি মাত্র মেয়ে সে।আছে ছোট এক ভাই,সে অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে।মাধ্যমিকেও ৫৮৬ নম্বর পেয়ে স্টারমার্ক পেয়েছিল সে।এলাকার মধ্যে ভালো নম্বর পেয়ে সারা ফেলে দিয়েছিল।
মা তুলসী দেবী জানান,”আমাদের চরম অভাব তবুও আমি মেয়েকে পড়াশোনার ব্যাপারে কোন রকম কৃপণতা করি নি।বিভিন্ন শিক্ষকের সাথে কথা বলে আমার মেয়েকে পড়ানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। আগামীতে মেয়ের স্বপ্ন যাতে বাস্তবায়িত হয় সে ব্যাপারে আমার কোনো রকম ত্রুটি থাকবে না।
আমার স্বামী মানিক মজুমদার একজন দিনমজুরের কাজ করে আমাদের সংসার চালান সেই সাথে আমিও কিছুটা আর্থিক উপার্জন করে থাকি তাই আমার ছেলে মেয়েকে ভবিষ্যৎ ভালো মানুষের মত মানুষ করে গড়বো এরকমটাই আশা রয়েছে।”
বিথী মজুমদার ইতিমধ্যেই কৃষ্ণনগর গভমেন্ট কলেজ ও কালনা কলেজ থেকে আবেদনপত্র এনেছেন।কলেজে ভর্তি হয়ে তাড়াতাড়ি নিজের পরবর্তী পড়াশুনা চালানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছে এই কৃতী ছাত্রী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584