নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
এই বছরের আনন্দ পুরস্কার প্রাপ্ত ‘দণ্ডভুক্তি’ পত্রিকার আত্মজন কথাসাহিত্যিক নলিনী বেরার জন্মদিনটি স্মরনীয় করে রাখতে জন্মদিনের প্রাক্কালে অপরাহ্নবেলায় পত্রিকা পরিবারের উদ্যোগে মাসিক ‘দণ্ডভুক্তি বৈঠক’ উপলক্ষ্যে এক অনবদ্য স্মৃতি-রোমন্থনের আসর আয়োজিত হল দাঁতনে।
দক্ষিন-পশ্চিম সীমানা বাংলার এই প্রান্তিক জনপদে কথায়-কবিতায়-ইতিহাস-গল্পে-গানে শুধুই ‘সুবর্ণরেখা’-র ছোঁয়া।
শ্রী বেরা লিখিত আনন্দ পুরস্কার প্রাপ্ত উপন্যাস ‘সুবর্ণরেণু সুবর্ণরেখা’-র অসাধারন পাঠ-প্রতিক্রিয়া উপস্থাপন করেন কবি ও সম্পাদক অতনুনন্দন মাইতি।
সুবর্ণরেখা তীরবর্তী সংস্কৃতি -লোকাচার- রীতিনীতি -ইতিহাস-ভূগোল এমনকি কতশত রকমের ফুল-ফল-ঘাস মায় ভূত-পেত্নীর নাম এক লহমায় জেনে ফেলা গেল।
আরও পড়ুনঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের শততম জন্মদিন উদযাপন
‘বেহেরার পো’ ললিনের দুই চোখে লেগে থাকা নদীর ওপারে ‘বিলেত’ দেখার স্বপ্নে বুঁদ হয়ে রইলো মেঘের কোলে লুকিয়ে থাকা একটি আনন্দ-সন্ধ্যা।
আলোচনা এগিয়ে নিয়ে চলেন লোকগবেষক তরুণ সিংহ মহাপাত্র,কবি সূর্য নন্দী । কিশোরবেলার সুবর্ণরেখা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন সঙ্গীতশিল্পী শক্তি পারিয়া, শান্তিদেব ঘোষ,শিক্ষক অরবিন্দ দাস ও শিবশংকর সেনাপতি,’দণ্ডভুক্তি’ সম্পাদক সন্তু জানা এবং সহ-সম্পাদক পবিত্র পাত্র প্রমুখ।
নলিনী বেরা-র ‘আনন্দ’ প্রাপ্তিতে সুবর্ণরেখার মানুষ হিসেবে গর্বিত সকলে।এই পুরস্কারে আসলে পুরস্কৃত হয়েছে নদীমাত্রিক যাপনচিত্র , সদা প্রবহমান জলরাশি, দিগন্ত-বিস্তৃত স্বপ্নের ন্যায় বয়ে চলা অসীম অনন্ত সুবর্ণরেণু।
এবারের বৈঠকে কবিতাপাঠ -অনুগল্পপাঠ -গিটারবাদনে রঞ্জিত করে তোলে তরুণ-ব্রিগেড দেবার্ঘ্য ঘোষ, দেবাশীষ দাস,রূপময় চ্যাটার্জি,রনদীপ গিরি,লিজা ঘটক,রনি কর্মকার,রাজিব রং প্রমুখ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584