সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ
নামখানা ব্লকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে ট্রলার উল্টে মারা গিয়েছে একজন। মৃতের নাম সঞ্জয় দাস। তার বাড়ি কাকদ্বীপ পূর্ব স্টিমার ঘাটে।
সঞ্জয় দাসের বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা, স্ত্রী, ৭ বছরের মেয়ে ও এক মাসের শিশু সন্তান রয়েছে। আকস্মিক এই বিপর্যয়ে পরিবারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। দুর্ঘটনার জন্য মৃতের পরিবার ট্রলার মালিককেই দায়ী করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, মালিকপক্ষ বা পুলিশ কেউই এসে কোনও খবর দেয়নি। এরপর কোনও খোঁজ না পেয়ে জোর করে হাসপাতালে ঢুকে পড়েন মৃতের পরিবার। এরপর দেহ শনাক্ত করে সঞ্জয় দাসের মৃত্যুর কথা জানতে পারেন পরিবারের লোক।
কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানিয়েছেন, “ফ্রেজারগঞ্জ পাতিবুনিয়ার কাছে ৪০টি ট্রলার নোঙর করে দাঁড়িয়েছিল। রাতে ঘূর্ণিঝড়ে ৪টি ট্রলার ডুবে যায়। ট্রলার ডুবির ঘটনায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৮ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
মর্মান্তিক এই ঘটনার জন্য স্থানীয়রা মালিকপক্ষের জোরজুলুমকেই দায়ী করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সতর্কতা জারি হওয়ার পর ট্রলারগুলিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু মালিকপক্ষের চাপে মৎস্যজীবীরা ট্রলারেই থেকে গিয়েছিলেন। নইলে কাজ হারাতে হতো মৎস্যজীবীদের। তাই পেটের দায়ে জীবন বাজি রেখে দুর্যোগের সময় তাঁরা ট্রলারের ভিতরই থেকে গিয়েছিলেন। এমনকি কুসংস্কারবশত ট্রলারগুলিকে মালিকপক্ষ তীরে পর্যন্ত ঠেকাতে দেয়নি। কারণ ট্রলার মালিকরা সর্বক্ষণ মৎস্যজীবীদের এই বলে চাপ দেয় যে, “মাছ নিয়ে ফিরবে তোমরা। নইলে কেউ মাটিতে নামবে না।”
এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, সোমবার ফের ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হবে। নিখোঁজদের খোঁজ চালাচ্ছেন অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীরাও।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584